সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা সদরের বারোয়ারি বটতলা মহল্লার নিজ বাড়িতে মামা, মামি ও মামাত বোনকে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন ভাগ্নে রাজীব ভৌমিক।
বুধবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মণ্ডল বিপিএম পিপিএম বার প্রেস বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ঘাতক রাজীব ভৌমিক উল্লাপাড়া উপজেলার তেলিপাড়া গ্রামের বিশ্বনাথের ছেলে।
নিহতরা হলেন, তাড়াশ পৌর এলাকার কালিচরণ সরকারের ছোট ছেলে বিকাশ সরকার (৪৫), তার স্ত্রী স্বর্ণা রানী সরকার (৪০) ও মেয়ে তাড়াশ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী পারমিতা সরকার তুষি (১৫)।
মঙ্গলবার রাতে তাড়াশ থানায় নিহত স্বর্ণা সরকারের বড় ভাই সুকমল চন্দ্র সাহা হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ, সিআইডি, পিবিআই, ডিবি ও তাড়াশ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল ট্রিপল মার্ডারের সাথে জড়িত ভাগ্নে রাজিব ভৌমিককে আটক করে।
পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিতে রাজিব ভৌমিক জানান, নিহত বিকাশ চন্দ্র সাহা তার ভাগ্নে রাজীব ভৌমিকের সাথে মাছের খাদ্যের ব্যবসা করতেন। রাজিব ভৌমিক ব্যবসার জন্য মামা বিকাশ সরকারের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা নেন। বিকাশ মূলধনসহ সমদয় টাকা ফেরত চাইলে ভাগ্নের সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়। এর জের ধরে ২৭ জানুয়ারি বিকেল রাজিব বিকেলে মামার বাসায় যান। মামা বাসায় না থাকার সুযোগে মামিকে কফি আনার জন্য বাহিরে পাঠান। তখন মামাত বোন পারমিতা সরকার তুশিকে হত্যা করেন। মামি কফি নিয়ে বাসায় এলে তাকে রড দিয়ে পিটিয়ে অজ্ঞান করে হাসুয়া দিয়ে গলা কেটে হত্যা নিশ্চিত করেন রাজিব। পরে মামাকে মোবাইল ফোন করে বাসায় আসতে বলেন। মামা বিকাশ সরকার বাসায় এলে তাকেও একইভাবে হত্যা করেন।
হত্যায় ব্যবহৃত রড ও হাসুয়া উদ্ধার করেছে পুলিশ।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য