ঢাকার ধামরাইয়ে মাটি ব্যবসায়ীদের কবল থেকে নিজের তিন ফসলি কৃষি জমি রক্ষার জন্য আকুতি জানিয়েছেন আনন্দ মোহন বিশ্বাস নামের এক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে তিনি ইউএনও’র নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন।
স্কুল শিক্ষক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের বাড়ি উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামে। তিনি খাগাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
রোববার বিকেলে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বেরশ গ্রামে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক আনন্দ মোহন বিশ্বাস অভিযোগ করে জানান, বেরশ এলাকায় তার ও তার ভাইয়ের প্রায় আড়াই একর তিন ফসলি কৃষি জমি রয়েছে। ওইসব জমিতে চলতি মৌসুমে বোরোধান রোপণ করা হয়েছে। আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের কতিপয় মাটি ব্যবসায়ী রাতের আধাঁরে এলাকায় প্রভাব খাটিয়ে পাশের জমি ক্রয় করে ভেক্যু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে। ফলে ওই স্কুল শিক্ষক ও তার ভাই গুরুপদ বিশ্বাসসহ অন্যদের রোপনকৃত ধানী জমির আইল ধসে পড়তে শুরু করেছে। শুধু তাই নয় মাটি ব্যবসায়ীরা পাশের ধানী জমির মাটি বিক্রি করার জন্যও নানা হুমকি ধামকি দিচ্ছে জমির মালিকদের।
প্রতিকার চেয়ে ওই শিক্ষক ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের নিকট অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু অভিযোগ দায়ের করার পর মাটি ব্যবসায়ীরা ভুক্তভোগীদের পরিবারকে নানা ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। ওই শিক্ষকসহ তার ভাই ও অন্যদের পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।
উল্লেখ্য ইউএনও একাধিকবার অভিযান চালানোর পরও থেমে নেই মাটি ব্যবসায়ীরা।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য