-->
শিরোনাম

দর্শনা কেরু চিনিকলের মাড়াই মৌসুম সমাপ্ত

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
দর্শনা কেরু চিনিকলের মাড়াই মৌসুম সমাপ্ত
চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেড

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরু চিনিকলের ২০২৩/২৪ মাড়াই মৌসুম সমাপ্ত ঘোষনা করা হয়েছে।

 

সোমবার ভোরে মাড়াই মৌসুমীর সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়। তবে চিনি করপোরেশনের দেয়া লক্ষমাত্রা পুরন হয়নি বলে কতৃপক্ষ জানান।

চিনিকল সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করর্পোরেশন চেয়ারম্যান শেখ সোয়েবুল আলম দর্শনা কেরু চিনিকলের ডোঙায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন। করর্পোরেশনের দেয়া লক্ষমাত্রা ধার্য ছিল ৫৫ কার্যদিবস এবং চিনি আহরনের হার ধরা হয়েছিল ৫.০ শতাংশ।

 

কিন্ত সোমবার ৫ ফেব্রুয়ারি ভোর ৫টায় ৫২ কার্যদিবসে ২০২৩/২৪ মাড়াই মৌসুমের মাড়াই দিবস সমাপ্ত করা হয়। যা লক্ষমাত্রার ৩ কার্যদিবস কম। এ সময়ে ৫৬ হাজার ৫ মেট্রিকটন আখ মাড়াই করে রোববার পর্যন্ত ৪ দশমিক ৬৭ শতাংশ চিনি আহরন হারে ২ হাজার ৪৬৭ মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন হয়েছে। তবে মাড়াই মৌসুম শেষ হলেও কারখানায় রস ও গুড় আছে, যা থেকে চিনির পরিমান বাড়বে।

দর্শনা কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, সদর দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক আখচাষ বাড়ানো সহ চাষীদেরকে আখচাষে আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে। এ বছর চিনি কারখানায় লাভ না হলেও লোকসান অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে।

জানা যায়, দেশের সর্ববৃহৎ চিনিকল চুয়াডাঙ্গা দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানি লিমিটেড ৬১ কোটি ৫ লাখ টাকা লাকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ২০২৩-২৪ আখ মাড়াই মওসুম শুরু করে। ২০২৩/২৪ আখ মাড়াই (১৫ ডিসেম্বর) শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে দর্শনা কেরু চিনিকলের ডোঙায় আখ ফেলে ২০২৩/২৪ আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করা হয়েছিল। প্রধান ও বিশেষ অতিথিরা একযোগে ডোঙায় আখ নিক্ষেপের মধ্যে দিয়ে মাড়াই মৌসুমের শুভ সূচনা করেছিলেন।

১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের সর্ববৃহত্ব চিনিকল দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। চিনি উৎপাদন কারখানা, ডিস্টিলারি, জৈব সার কারখানা ও ওষুধ কারাখানার সমন্বয়ে গঠিত বৃহৎ এ শিল্প কমপ্লেক্স। চিনি কারখানাটি দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহতভাবে লোকসান গুনে আসছে। সরকারিভাবে চিনির মূল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে চিনিকারখানাটি।

 

এছাড়াও প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে মিলস হাউসে নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে চিনিকলটি আধুনিকায়নের কাজ চলমান রয়েছে। এতে আখ মাড়াই ও চিনি উৎপাদনের সক্ষমতা সামনের দিনে আরো বাড়বে। তবে এলাকায় আখ চাষ ক্রমাগত কমতে থাকায় সংকটে পড়েছে দেশের ঐতিহ্যবাহী এই চিনিকলটি। তবে এবার চিনিতে মোটা অঙ্কের লোকসান কমিয়ে আনতে পারবে ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানটি এমনটিই আশা করছে কর্তৃপক্ষ।

চিনিকলে গত বছর ২০২২-২৩ মাড়াই মওসুমে ৪২ মাড়াই দিবসে প্রায় ২৩ হাজার টন চিনি উৎপাদন করেছিল চিনিকলটি। সে সময় আখের অভাবে র্নিধারিত দিনের আগেই বন্ধ হয়ে যায় চিনিকল। এবারো নির্দিষ্ট কার্য দিবসের আগেই আখের অভাবে বন্ধ হয়ে গেল আখ মাড়াই।

 

চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোশারফ হেসেন বলেন, এবার চিনিকলে লোকসান কম হবে বলে আশা করছি।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version