-->

সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের খাদ্য

হরিণসহ ৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী

বাগেরহাট প্রতিনিধি
সুন্দরবনে বেড়েছে বাঘের খাদ্য
সুন্দরবনের রয়েলবেঙ্গল টাইগার

সুন্দরবনে বেড়েছে হরিণসহ পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণী। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্যা কনজারভেশন অব নেচারের (আই.ইউ.সি.এন) সার্বিক সহযোগিতার প্রকাশিত জরিপে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে তিন প্রজাতির বন্যপ্রাণী হরিণ, বানর, বন্যশুকর বাড়ার তথ্য মিলেছে।

 

জরিপে নতুন অন্তভুক্ত করা হয়েছে গুইসাপ ও সজারু। এছাড়া চলমান ক্যামেরা ট্রাকিং জরিপের প্রাথমিক তথ্য বিশ্লেষণ করে সুন্দরবনের বাঘ বাড়ারও তথ্য মিলছে। তবে আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে সুন্দরবনের বাঘের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানাগেছে।

 

সুন্দরবন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জোয়ারের সময় সমুদ্রের লোনা পানিতে প্লাবিত জীববৈচিত্রে ভরপুর সুন্দরবনে ৩৭৫ প্রজাতির বন্যপ্রাণী থাকলেও বাঘের খাদ্য মাত্র পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণী হরিণ, বানর, বন্যশুকর গুইসাপ ও সজারু। গোটা সুন্দরবনে ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্যা কনজারভেশন অব নেচারের (আইইউসিএন) সার্বিক সহযোগিতার বাঘের খাদ্য পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর হরিণ, বানর, বন্যশুকর, গুইসাপ ও সজারুর জরিপ করা হয়।

 

সম্প্রতি প্রকাশিত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, যেখানে ২০০৪ সালের জরিপে চিত্রল ও মায়া হরিণের সংখ্যা ৮৩ হাজার থেকে বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩৬ হাজার ৬০৪টি, বানর ৫১ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৪টি, বন্যশুকর ২৮ হাজার থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ৫১৫টি। সুন্দবনে এবারই প্রথম জরিপে অন্তভূক্ত হওয়া গুইসাপ রয়েছে ২৫ হাজার ১২৪টি ও সজারু রয়েছে ১২ হাজার ২৪১টি।

 

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দো জানান, সুন্দরবনে বাঘের পর্যাপ্ত প্রাণী খাদ্য রয়েছে। বিশ^ ঐতিহ্য এলাকা এই ম্যানগ্রোভ বন দস্যুমুক্ত হওয়া, স্মার্ট পেট্রোলিংসহ বন বিভাগ, র‌্যাব, কোস্টগার্ড ও বিজিবি’র কঠোর নজরদারীর কারণে হরিণসহ বন্যপ্রাণী শিকার অনেক কমে এসেছে। পাশাপাশি সুন্দরবনে অভয়াণ্যের আয়তন বাড়িয়ে ৫১ ভাগ করায় অনুকুল পরিবেশে বাঘের খাদ্য বন্যপ্রাণী হরিণ, বানর ও বন্যশুকরের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। এবারই প্রথম জরিপে অন্তভুক্ত করা গুইসাপ ও সজারুর সংখ্যাও জানা গেছে।

বাঘের খাদ্য পাঁচ প্রজাতির বন্যপ্রাণীর জরিপে দেখা গেছে, সুন্দরবনে এখন সব মিলিয়ে এসব বন্যপ্রাণী রয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৯২৮টি। জার্মানির কেএফডব্লিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের আর্থিক সহয়তায় আইইউসিএনের সহযোগিতার সাম্প্রতিক প্রকাশিত জরিপ রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

তিনি আরও জানান, আবাসস্থলসহ সুন্দরবনের বাঘ সুরক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করার ফলে চলমান ক্যামেরা ট্রাকিং জরিপে বাঘ বাড়ারও তথ্য মিলছে। আগামী ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবসে সুন্দরবনে জরিপ কাজ শেষ হবে। তখন সুন্দরবনের বাঘের সঠিক সংখ্যা জানা সম্ভব হবে বলেও জানা এই বন কর্মকর্তা।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version