চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে ১১জন আহত হয়েছেন। এসময় দোকানপাট ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। রোববার রাত ১০টার দিকে উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পাঁকা গ্রামের বাজারে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে এই ঘটনা ঘটে।
প্রথম পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন, পাঁকা গ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম, তার সমর্থক একই গ্রামের মায়ের দোয়া হোটেলের মালিক বিপুল হোসেন, গোলাম হোসেন ও বাবলু। দ্বিতীয় পক্ষের আহতরা হলেন, সভাপতি প্রার্থী একই গ্রামের মিলন হোসেন, তার সমর্থক রুস্তম আলী, ফারুক হোসেন, জিহাদ হোসেন, শাহ আলম, তানিম আক্তার ও কামরুজ্জামান।
আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঁকা দারুস সালাম দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রোববার রাতে পাঁকা গ্রামের বাজারে দুই সভাপতি পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সভাপতি পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন বলে জেনেছি। দুপক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। এসময় মায়ের দোয়া নামক একটি খাবার হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। আহতদের উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, ১১ জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে সাইফুল ইসলামের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছে। সেখানে তিনটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাকে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জীবননগর থানার ওসি এস.এম জাবীদ হাসান বলেন, পাঁকায় একটি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে মারামারি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য