অলৌকিক ব্যাপার ছাড়া কিছুই ভাবতেই পারছেন না গ্রামবাসী। চাঁপাইনবাবগঞ্জের চরবাগডাঙ্গার গড়াইপাড়ার জনৈক নাসির আলীর বাড়ির গলিতে থাকা একটি নিমগাছ থেকে বেরিয়ে পড়ছে খেজুরের রস।
কেউ কেউ হাত দিয়ে রস চেখে দেখছেন। এমনকি বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্তির আশায় রস সংগ্রহে হিড়িক পড়েছে গ্রামবাসীর মধ্যে। মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়ে এই কাহিনী। দলে দলে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে গাছের তলায়। তারা রস নিতে অনেকেই গাছে ঝুলিয়েছেন বিভিন্ন পাত্র। গ্রামবাসীর পাশাপাশি পথচারীরা ছুটে আসছেন নিমগাছের গা বেয়ে পড়তে থাকা রস খেতে আবার কেউবা সংগ্রহ করতে ।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২ সপ্তাহ ধরে গাছ থেকে অল্প অল্প রস বের হলেও ৩ দিন থেকে এর পরিমান বাড়তে থাকে। গ্রামের এক ব্যক্তি মুখে নিয়ে নিমগাছের রসের মিষ্টতা দেখলে এ খবর ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম জুড়ে। এরপর থেকেই গাছ দেখতে ছুটে আসছে উৎসুক জনতা। নিমগাছের পাতা, কাঁচা ফল, বীজ, কান্ড ও রস স্বাভাবিকভাবে তিতা হলেও এই গাছের রস মিষ্টি হওয়ায় অবাক হচ্ছে মানুষ। নিমগাছের তিতা রস মিষ্টি দেখে তা অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী মনে করে বিভিন্ন রোগবালাই থেকে মুক্তির আশায় রস সংগ্রহ করছেন অনেকেই।
এদিকে চরবাগডাঙ্গা ইউপি সদস্য আশরাফূল ইসলাম জানান, গত কয়েকদিন আগে বাবা-মায়ের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে ২৪ বছরের নিমগাছটি গড়াইপাড়া জামে মসজিদের নামে দান করেছেন গাছের মালিক নাসির আলী।
অপরদিকে উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের শিক্ষকরা মনে করছেন, নিমগাছটির রসের স্বাদ খেজুরের রসের মতো হলেও এর আশেপাশে মেহগনি ছাড়া আর কোন গাছ নেই। গাছের নিচে থাকা মাটির গুণাগুণ ও আশেপাশের বিভিন্ন পরিবেশের কারনে নিমগাছের রসের স্বাদে পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করছেন।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য