কিশোরগঞ্জে নারী প্রভাষকের বিরুদ্ধে স্বামীর কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পরকিয়া প্রেমিকের সাথে বসবাস করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী। সোমবার এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনও করেছেন তিনি।
কিশোরগঞ্জ ম্যাজিষ্টেট আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার ফাতেমা আক্তার মনির সাথে নান্দাইল উপজেলার হুমায়ুন কবিরের ২০০৭ সালে ২৮ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। সংসার জীবনে তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ভুক্তভোগী স্বামী হুমায়ুনের দাবি, কিশোরগঞ্জের জিয়াউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক ফাতেমার নামে ১১ লক্ষ টাকা দিয়ে ৫.৩৪ শতাংশ জমি ক্রয় করে রেজিস্ট্রি করে দেন তিনি। যার বর্তমান মূল্য ৬০ লক্ষ টাকা। তিনি বিদেশ যাওয়ার সময় নগদ ১০ লক্ষ টাকা ফাতেমার কাছে রেখে যান এবং বিদেশে গিয়ে ব্যাংক একাউন্টে ৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ও মোবাইলে বিকাশ’র মাধ্যমে ১৮ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন স্ত্রী ফাতেমার কাছে।
তাছাড়া বিদেশে যাওয়ার সময় ঘরে রেখে যাওয়া স্বর্ণালঙ্কার, আসবাবপত্র সহ ১২ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল হুমায়ূনের। সবমিলিয়ে ১ কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে গেছে ফাতেমা। বর্তমানে করিমগঞ্জ উপজেলার মহসিন সুমনের সাথে সন্তানদের নিয়ে বসবাস করছেন ফাতেমা।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে বিদেশ থেকে এসে দেখি রেখে যাওয়া ভাড়া বাসায় স্ত্রী সন্তান কেউ নেই। তাদের খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারি ফাতেমা আমাদের দুই সন্তানকে নিয়ে মহসিন সুমনের সাথে অন্য এক ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এরপর ফাতেমার কর্মস্থল ও তার আত্মীয়-স্বজনের সাথে যোগাযোগ করে কোন সূরাহা না পেয়ে কিশোরগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছি।
বিষয়টি নিয়ে ফাতেমা আক্তার মনির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে মহসিন সুমনকে বিয়ে করেছি। তাছাড়া কিশোরগঞ্জ মডেল থানা হুমায়ুন কবিরের নামে একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলাম। হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এসিআই কোম্পানির ও একটি মামলা রয়েছে।
হুমায়ুনের বিরুদ্ধে মামলার কাগজ ও জিডির কাগজ দেখাবে বলে ৩ দিন সময় নিলেও ফাতেমা তা দেখাতে পারেননি। পরে ফাতেমা আক্তার মণির সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার হুমকি দেন।
তবে ফাতেমা আক্তার মণির ভাই রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বোন চালাকি করে তার স্বামীকে নিঃস্ব করেছে।’ জিয়াউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ফাতেমার পারিবারিক ঘটনাটি আমি শুনেছি। এইসব নিয়ে দেন দরবার হয়েছে। অনেকেই বলছে তার স্বামীর টাকা পয়সা ফেরত দিতে।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ, বিষয়টি আমি শুনেছি।’
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য