-->
শিরোনাম

শাল্লায় শিশু শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা, অভিভাবকদের ক্ষোভ 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
শাল্লায় শিশু শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা, অভিভাবকদের ক্ষোভ 
উপজেলার গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের অমানবিকভাবে লাঠিপেটা করায় সহকারী শিক্ষক প্রীতবাস দাশের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। আজ বিকেলে উপজেলার আনন্দপুর বাজারে এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
 
 
বৈঠকে ইউপি সদস্য বাবলু রায়, সাবেক ইউপি সদস্য কালাই মিয়া ও মিহির কান্তি রায়সহ হবিবপুর, আনন্দপুর গ্রামের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। 
 
 
এবিষয়ে অভিভাবক সুশীল চক্রবর্তী বলেন আমার মেয়েকে পীঠে লাঠি দিয়ে আঘাত করেছে। আঘাতের ফলে লাল হয়ে গেছে মেয়ের পীঠ। এর বিচার চাই আমি।
 
 
নিশিকান্ত রায় বলেন, আমার মেয়ের মাথায় আঘাত করা হয়েছে। আমি ওই শিক্ষকের কাছে আমার মেয়ে অনিরাপদ। আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই।
 
 
কৃপেশ চন্দ্র দাশ বলেন, আমার মেয়ের হাতে আঘাত করা হয়েছে। অন্য শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুধু দেখছে। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠিন বিচার হওয়া দরকার।
 
 
আ. খালেক বলেন, গরু ছাগলের মত পিঠানো হয়েছে আমাদের মেয়েদেরকে। এরপূর্বেও ওই শিক্ষক শিশুদের মেরেছিল। শিশুদের মারা তার জন্য নতুন কিছু নয়।
 
মিহির কান্তি রায় বলেন, বেধড়কভাবে মারধর করেছে ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়। মেয়ের স্পর্শকাতর স্থানে পর্যন্ত সে আঘাত করেছে। মেয়েরা লজ্জায় বলতে পারতেছে না। ১১জন মেয়ে ও ২জন ছেলে শিক্ষার্থীদের লাডুরিভাবে মারছে। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার। 
 
 
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক প্রীতবাস দাশ বলেন, আমি দরজায় বারি দিতে গিয়ে হয়ত কেউ আঘাত পেয়েছে। এরজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি তাদের কাছে।
 
 
অন্যদিকে শিশু শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তার কাছে প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ায় তিনি আমাদের এভাবে মেরেছেন। আমরা ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম এসমন প্রীতবাস স্যার লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। আমরা তখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। এখন স্কুলে যেতে আমাদের ভয় করছে।
 
 
প্রাইভেট পড়াশোনার বিষয়ে অভিভাবকদের বৈঠকেও আলোচনা করা হয়েছে। অভিভাবকরা লিখিতভাবে অভিযোগ করবেন বলে জানান।
 
 
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মৃদুল চন্দ্র দাশের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
 
 
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
 
 
এ ব্যাপারে সুপারভাইজার কালীপদ দাশ বলেন, খুবই অমানবিক ঘটনা এটি। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
 
 
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনন্দ মোহন দাসের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। 
 
 
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টায় গিরিধর উচ্চ বিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটে। সেদিন ওই বিদ্যালয়ে আনন্দ মোহন দাস উপস্থিত ছিলেন না।
 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version