ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোবাইল দেখা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্যের জেরে প্রাণ দিতে হলো নববধূ তাছলিমা আক্তারকে। নববধূ হত্যাকারী ঘাতক স্বামী আব্দুল হামিদকে আটক করা হয়েছে।
২৫ বিজিবি (সরাইল) ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ল্যা. কর্ণেল আরমান আরিফ পিএসসি বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড় মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। আব্দুল হামিদ উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের পুত্র।
এর আগে বিয়ের মাত্র ৩দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
আব্দুল হামিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। আব্দুল হামিদ জানিয়েছেন তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও ছেলেদের সাথে চ্যাটিং করতো বলে তার সন্দেহ ছিল। আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে তাকে তার স্ত্রী মোবাইল ধরতে বারণ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ৭/৮ মাস আগে প্রবাসী আব্দুল হামিদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের তাছলিমা আক্তারের মোবাইল ফোনে বিয়ে হয়। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত ৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার দুপুরে হামিদের বাড়িতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা এসে দেখেন বিছানায় গলাকাটা রক্তাক্ত অবস্থায় নববধু তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য