-->

নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
নিখোঁজের ৫ দিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় নিখোঁজের ৫ দিন পর সানজিদা খাতুন (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শিশুর সৎ বাবা ও প্রতিবেশী মামাকে আটক করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার সকালে সলঙ্গা থানার অলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের একটি ধানক্ষেত পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে সলঙ্গা থানা পুলিশ। নিহত শিশু সানজিদা খাতুন আমশড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। আটককৃতরা হলেন, অলিদহ গ্রামের শরিফুল ও একই গ্রামের হাসমত আলী।

স্থানীয়রা জানান, সানজিদা মাদ্রাসায় যাবার পর আর বাড়িতে ফেরেনি। তাকে বিভিন্নস্থানে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে ১১ ফেব্রুয়ারী তার নানা সলঙ্গা থানা একটা জিডি করলে পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে তার সৎ বাবা ও প্রতিবেশি এক মামাকে জিজ্ঞেসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদে আটক দুজন হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে আটকদের দেওয়া তথ্যমতে একটি ধানক্ষেতের মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় সানজিদার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ বিষয়ে সলঙ্গা থানার ওসি মো. এনামুল হক ভোরের আকাশকে বলেন, নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন প্রথম স্বামী শাহিনের বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। তাদের মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা শশুড়বাড়ী ছেড়ে বাবার বাড়ী চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করে। কিন্তু ফিরে না আসায় জরিনার প্রতিবেশী ভাই হাসমতের শরণাপন্ন হন শরিফুল।

 

হাসমত আলী তাকে বলেন, সানজিদাকে অপহরণ করে তার হাতে তুলে দিলেই তোমার স্ত্রীকে ফেরত পাবে। এ অবস্থায় গত ১০ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসায় যাবার পথে হাসমত ও শরিফুল সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করে। তারা চিপসের প্রলোভন দেখিয়ে তুলে নেবার চেষ্টা করে। সানজিদা চিৎকার করলে তাকে গলাটিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে মরদেহ ফেলে রেখে যায়। পরে ওই রাতেই তারা ফেলে রাখা মরদেহটি পাশের একটি ধানক্ষেতে পুতে রাখে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version