বরগুনার পাথরঘাটার কাকচিড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টুর বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একই ইউনিয়নের মধ্য বাইচটকীর মিজানুর রহমান ও তার পরিবার। শনিবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে বেশ কিছু দিন যাবৎ জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ হয়। জমি নিয়ে অনেকবার শালিশ হয়। শালিশগণ সমস্ত কাগজপত্র দেখে মিমাংশার মধ্য দিতে রোয়েদাদ প্রদান করেন। অনেকদিন যাবৎ উক্ত রোয়েদাদ অনুসারে আমরা সেই জমি ভোগ দখল করি। এরপর ১ বছর পরে আমার বিরোধী হারুন শিকদার ইউপি চেয়ারম্যানের বরাবর একটা দরখাস্ত প্রদান করেন। তখন চেয়ারম্যান আমাদেরকে নোটিশ প্রদান করেন এবং আমরা নোটিশ গ্রহণ করি এবং চেয়ারম্যান আমার পিতাকে নোটিশের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে সাদা রেফে আমার পিতার স্বাক্ষর নিয়ে একতরফা মৌখিক রায় প্রদান করেন এবং বিবাদীপক্ষের দখলে আমার জমি দিয়ে দেয়।
তিনি আরও বলেন, আমরা এই শালিশ মানি না কিন্তু তারা বলে এই শালিশ হয়েছে। তারপর আমরা নতুন ভাবে শালিশীর মাধ্যমে রোয়েদাদ চাই কিন্তু তারা দিতে অস্বীকার করে। তখন পুরানো শালিশগন বলে যে পুরানো রোয়েদাদ ঠিক আছে। কিন্তু বিরোধীদল পুরানো রোয়েদাত না মেনে তারা চেয়ারম্যানের দোয়াই দিয়ে জমিতে বেড় কাটে। সেখানে আমরা বাধা দিতে গেলে আমার সাথে বিরোধীদলের ধস্তাধস্তি হয় এবং বৃহস্পতিবার বিরোধী দলের মো. সালাম চেয়ারম্যানের নিকট অভিযোগ দেয়। ওইদিন দুপুরে আমাদের বাড়ীতে এক চৌকিদার নোটিশ নিয়ে হাজির হয়। আমরা চেয়ারম্যানের নিকট ন্যায় বিচার পাই না বলে আমি নোটিশ গ্রহণ করতে অস্বীকার করে। অতঃপর আমার পিতা সেই নোটিশ স্বাক্ষর দিয়ে গ্রহণ করে। তার কিছুক্ষন পর চেয়ারম্যান ও পরিষদের সকল চৌকিদার এবং বাহিরের দুজন লোক নিয়ে আমাদের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যান ও তার দলবলসহ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকে ধাওয়া করে এবং বেধরক মারধর করে। উক্ত চৌকিদারের ভেতর একজন আমাদের বিরোধী দলের রেজাউল চৌকিদার।
মিজানুর রহমান বলেন, মারামারির এক পর্যায়ে উক্ত রেজাউল চৌকিদার আমার ঘরে অনধিকার প্রবেশ করে আমার ঘরে উঠে ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন ও ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। ২০০৭ সালের রেজাউল চৌকিদারের মা সখিনা বেগমকে দিয়ে বেড়িবাধের সূত্র ধরে বরগুনা রেফ কেস দেয়, যা মিথ্যা প্রমানিত হয়।
তিনি বলেন, রেজাউল চৌকিদার আমাকে ও আমার বোন জামাইকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। আমি ও আমার পরিবারের যদি কারো কিছু ক্ষতি হয় এর জন্য দায়ী থাকবে চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন পল্টু। কারণ চেয়ারম্যান এসব অপকর্মের সাথে জড়িত। এই সংবাদ সম্মেলনের পর আমার প্রাণ সংকটে পরতে পারে। আমি পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনে প্রতি জোর আবেদন করছি, আমি যাতে ন্যায় বিচার পেতে পারি এবং পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য