-->
শিরোনাম

সাদার বদলে রঙিনের হাতছানি, উৎফুল্ল কৃষক

রংপুর ব্যুরো
সাদার বদলে রঙিনের হাতছানি, উৎফুল্ল কৃষক
ছবিটি আজ তারাগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রাম থেকে তোলা

সাদার বদলে রঙিনের হাতছানি, সবুজ পাতার মাঝখানে উঁকি দিচ্ছে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি। দূর থেকে মনে হয় কি যেন একটা পাপড়ি, তবে না। এটি একটি উন্নত জাতের এক ধরনের ফুলকপি। উচ্চমাত্রার পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ নিরাপদ সবজি হিসেবে রঙিন ফুলকপি পরিচিত। ফেরোমন ফাঁদ, হলুদ ফাঁদসহ জৈব বালাইনাশক নানা বায়ো চমক ব্যবহার করে চাষ করা হয়েছে রঙিন ফুলকপি।

দৃষ্টিনন্দন রঙিন ফুলকপি দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি বাজারে ক্রেতার সাধারনের চাহিদাও অনেক বেশি। অধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সবজি হিসেবে ইতোমধ্যে সাবার নজর কাড়ছে কৃষি বিভাগ, চাষিসহ ভোক্তাদের। এটি বর্তমানে কৃষি বিপ্লবে ব্যাপক সাড়া ফেলছে ‘রঙিন ফুলকপি’। রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের এই রঙিন ফুলকপি।

এই প্রথম ব্যাপক সাড়া ফেলেছে কমলা এবং বেগুনি রঙের ফুলকপির চাষে। তাক লাগলেও সাদার বদলে নানা রঙের ফুলকপির দেখা মিলছে উত্তরের জেলা রংপুরের তারাগঞ্জে। স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শে এবারে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, রংপুর কৃষি বিভাগ ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের পলাশবাড়ি গ্রামের অবিনাশ চন্দ্র ও ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের মাসুদ রানা পৃথকভাকে পরীক্ষামূলক উচ্চমূল্যে নিরাপদ সবজি প্রদর্শনী রঙিন ফুলকপির চাষ করেছেন।

 

পলাশবাড়ি গ্রামের চাষি অবিনাশ বলেন, উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় রঙিন ফুলকপির চারা সার ও কীটনাশক পেয়েছি। তাদের পরামর্শ অনুযায়ী নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি ওই চারাগুলো রোপণ করি এবং রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সার ব্যবহার করি। তবে সাদা ফুলকপি চাষের চেয়ে রঙিন ফুলকপি উৎপাদন খরচ কম। এটি প্রায় তিন মাসের মধ্যে ফলন আসে। এই ফুলকপির চাহিদা বাজাওে অনেক বেশি। বাজারে প্রতিটি রঙিন ফুলকপি দাম জমিতে ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি করেছি। এবারে জমিতে সাদা ফুলকপির চেয়ে ৪-৫ গুন লাভবান হয়েছেন এই রঙিন কপি চাষ করে। প্রতিবেশীসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন প্রতিদিন আসেন কপির ক্ষেতে দেখতে।

অন্যদিকে একই উপজেলার ইকরচালী ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের মাসুদ রানা বলেন, নিজের ৩০ শতক জমিতে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে এই রঙিন ফুলকপি চাষ করেছেন। ভালো ফলনের পাশাপাশি মোটামোটি ভলো দামও পাওয়া যাচ্ছে। এই ফুলকপি বাজারে নেওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি আকৃতির ফুলকপি প্রতিপিছ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০২১ সালে বাংলাদেশে প্রথম এই রঙিন ফুলকপির চাষ শুরু হয়। কিন্তু রংপুরে সর্ব প্রথম এবারে রঙিন ফুলকপি চাষ হচ্ছে। কৃষি বিভাগ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘সম্পূর্ণ নিরাপদ উচ্চমূল্য ফসল চাষ’ রংপুর বিভাগের কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রঙিন ফুলকপি চাষ কৃষকের মাঝে সাড়া জাগিয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version