-->
শিরোনাম
মসিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

নীরব গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা

ময়মনসিংহ  প্রতিনিধি
নীরব গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন প্রার্থীরা

ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচনের বাকি ১৮ দিন। তবে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হয়নি এখনো। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণায় নামবেন প্রার্থীরা। কিন্তু নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসায় নীরব গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। 

 

নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে ভোটারদের পাশাপাশি বিভিন্ন মহলের সমর্থন পেতে বিরামহীন তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে লিফলেট বিতরণ, উঠান বৈঠক, মতবিনিময় সভাসহ বিভিন্ন কৌশলে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

 

মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ের পর মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থী, সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ১৯৭ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে টিকে আছেন। মেয়র পদে ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে পাঁচজন আওয়ামী লীগের নেতা। দলীয় প্রতীক না থাকায় তারা সবাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। আর জাতীয় পার্টির মনোনয়নে ১জন লড়বেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে। 

 

আওয়ামী লীগের রাজনীতি করা পাঁচ প্রার্থী হচ্ছেন- ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ড. মো. রেজাউল হক রেজা, মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত মাহমুদ আল নূর তারেকের ছেলে ফারমার্জ আল নূর রাজীব।

 

অন্যদিকে জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম স্বপন মন্ডল জাপার প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। তারা সকলেই শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ে টিকে থাকবেন বলে জানিয়েছেন। 

 

আনুষ্ঠানিক প্রচার-প্রচারণা শুরু না হলেও ভোটের সময় ঘনিয়ে আসায় প্রার্থীরা দিন-রাত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। ভোটারদের মন জয় করার আশায় সকাল থেকেই ছুটছেন নগরীর বিভিন্ন এলাকায়। কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগদান করে ভোটারদের কাছে তুলে ধরছেন নিজেদের প্রতিশ্রুতি। একইসঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রার্থী ও কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণসংযোগে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করছেন হেভিওয়েট প্রার্থী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদ্য সাবেক সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি প্রতিদিন ১৪ ঘণ্টারও বেশি সময় কাটাচ্ছেন দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে। সকাল ১০টা থেকে শুরু করে রাত ১২টার পর পর্যন্ত থাকছেন বিভিন্ন এলাকায়। মতবিনিময় সভা ও গণসংযোগের মাধ্যমে ভোটারদের কাছে গিয়ে সিটির উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ও অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে সুযোগ চাইছেন তিনি। ভোটাররাও টিটুকে বেশ আন্তরিকতার সঙ্গে গ্রহণ করতে দেখা গেছে। রোববার তিনি নগরীর ১৫, ১৭, ১৯, ২৭ ও ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। 

 

তবে পিছিয়ে নেই অন্য প্রার্থীরাও। সমানতালে গণসংযোগ চালাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলম এবং উপদেষ্টা সদস্য সাদেক খান মিল্কি টজু। এছাড়া ফারমার্জ আল নূর রাজীবও মাঠে রয়েছেন। তবে অন্য দুই প্রার্থীকে নিয়ে তেমন একটা আলোচনা নেই নগরে।

 

মেয়র প্রার্থী ইকরামুল হক টিটু ভোরের আকাশকে বলেন, দীর্ঘদিন আমি নগরবাসীর উন্নয়নের জন্য আমার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চটুকু দিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নিয়েছি। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে আগের মতো করেই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি। সকলেই আমাকে কাছে টেনে নিচ্ছেন। সিটি কর্পোরেশনের প্রক্রিয়াধীন যে প্রকল্পগুলো ও অসমাপ্ত প্রকল্পগুলো রয়েছে সেগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে আগামী দিনে ময়মনসিংহকে সমৃদ্ধ ও স্মার্ট নগরী হিসেবে গড়তে পারি সেই সুযোগ নগরবাসী দেবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।  

 

আরেক মেয়র প্রার্থী এহতেশামুল আলম ভোরের আকাশকে বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়। তাই তৃণমূলের সাধারণ মানুষ ও নেতাকর্মীদের অনুরোধে আমি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছি এবং ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version