-->

মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্যে কোণঠাসা এলাকাবাসী

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্যে কোণঠাসা এলাকাবাসী

ঈশ্বরগঞ্জের এলাকাজুড়ে মাদক কারবারিদের দৌরাত্ম্য। অনেকটা প্রকাশ্যে চলছে ইয়াবা, গাঁজা, মদসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য বেচাকেনা। কেউ মুখ খুললে দেওয়া হয় হুমকি, করা হয় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি। এমন পরিস্থিতিতে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্যে কোণঠাসা হয়ে আছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের চরনিখলা নদীর পাড়ের এলাকাবাসী।

ভুক্তভোগীরা বলছে, এসব মাদক ব্যবসায়ীরা যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এতে অভিভাবকরা বেকায়দায় রয়েছেন। এলাকাবাসি সম্মিলিত হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ দিয়েও পাচ্ছেনা কোন প্রতিকার।

পুলিশ বলছে, এই মাদক ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হলেও জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে আবার একই কাজ করছে।

জানা যায়, এ এলাকার রাজা রাম ভাসফোর, আব্দুল খালেকের স্ত্রী জরিনা বেগম, মতিলাল গৌড়, শ্যামল গৌড়, সাজু ভাসফোরসহ আরো বেশ কয়েকজন বহুদিন ধরে মাদক কারবার করে আসছে। এলাকাবাসী মিলে তাদেরকে বহুবার বলা ও বুঝানোর পরেও তারা আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছেন। উল্লেখিত ৫ মাদক কারবারির নামে থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। এরপরও তারা জনসম্মুখে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণে এলাকার যুবসমাজ ও এলাকার ছাত্র-ছাত্রীরা মাদক সেবন করে ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার মেয়েদের দৈনন্দিন ইভটিজিং করে যাচ্ছে।

এ এলাকার মাদক ব্যবসা বন্ধের লক্ষে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর স্থানীয় অর্ধশতাধীক ব্যাক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি বরাবর দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাজু গৌড় ও শ্যামল গৌড়কে পুলিশ গ্রেপ্তার করলেও বাকি আসামিরা বীরদর্পে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কাজ। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে মাদক কারবারিদের হুঁশিয়ারি করে মাদকমুক্ত এলাকা ঘোষণা দিয়ে ব্যানার টানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান বলেন, ইতোমধ্যে অভিযুক্ত ২ মাদক কারবারিকে মাদকসহ গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version