দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ভূগর্ভ থেকে কয়লা উত্তোলনের কারণে পার্শ্ববর্তী বৈগ্রাম-কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের ঘরবাড়ীতে ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা লিখিত বক্তব্যে বলেন, কয়লা খনির কারণে ঘরবাড়ীতে ফাটল সৃষ্টি হলে ২২ জানুয়ারি আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ জানাই। ‘আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো সার্ভারের মাধ্যমে পদক্ষেপ না নিলে এবং ক্ষতিপূরণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন বিক্ষোভ মিছিল সহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’ কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। আমরা ছয় দফা চুক্তির কথা বলেছিলাম সেই ছয় দফা চুক্তি এখনো বাস্তবায়ন হয়নি।
ছয় দফা চুক্তির মধ্যে রয়েছে কর্তৃপক্ষের সমঝোতা চুক্তি মোতাবেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার হতে চাকরি দেওয়ার কথা, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার দুইটি গ্রামের বাড়ী ঘর ফাটল কাঁপুনি ঝুঁকিপূর্ণভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করছে তাদের দ্রুত পুনর্বাসন করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার ভূমিহীন প্রতিটি পরিবারকে মাইনিং সিটি অথবা উন্নত মানের বাসস্থান তৈরি করে দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের অবশিষ্ট ক্ষতিপূরণের টাকা দিতে হবে ক্ষতিগ্রস্তদের সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে হবে এবং মসজিদ-মন্দির-স্কুল-কলেজ ও হাসপাতাল তৈরি করে দিতে হবে, ক্ষতিগ্রস্তদের যাদের জমি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে তাদেরকে কয়লা উৎপাদনের বোনাস দিতে হবে।
কিন্তু গত ৩০ বছরে কয়লাখনি কর্তৃপক্ষ বৈগ্রাম সহ অন্যন্যা গ্রামগুলির যে অফুরন্ত ক্ষতি করেছে তার কিছুই সমাধান করেনি। খনি কর্তৃপক্ষ এই এলাকার মানুষকে বোকা বানিয়েছে। তাই এই সংবাদ সম্মেলনে জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর কাছে ন্যায় দাবী জানাচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের বৈগ্রাম-কাশিয়াডাঙ্গা ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. সাদেকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ সফিকুল ইসলাম, সদস্য মো. মেনাজুল হক সহ সংগঠনের শতাধিক সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন যদি আমাদের দাবিসমূহ বাস্তবায়ন না হয় তাহলে আমরা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হব।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য