-->
শিরোনাম
১৫ গ্রামের মানুষের চলাচলের ভরসা

বাঁশ ও কাঠের নড়বড়ে সাঁকো

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
বাঁশ ও কাঠের নড়বড়ে সাঁকো
চৌহালীর চরনাকালিয়া খালের উপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে নির্মিত সাঁকো

সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাস পুকুরিয়া ইউনিয়নে কয়েক বছর আগে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া গুরুত্ব পূর্ণ্য সড়কে আজও নির্মিত হয়নি সেতু। বাঁশ আর কাঠের ভাঙ্গা সাঁকো একমাত্র ভরসা স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে দিন পার করছেন তারা। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও রোগী নিয়েও চরম চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। চৌহালী উপজেলার ১৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ যেন দেখেও দেখছে না কেউ।

 

ভাঙা রাস্তা আর কাঠের নড়বড়ে সাঁকো। কখনও ভেঙ্গে গেলে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করে চলাচল করেন স্থানীয়রা। এই সাঁকো দিয়ে কোন মতে মানুষ পার হতে পারলেও যানবাহন নিয়ে পারাপার যেন চিন্তার বাইরে। চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাস পুকুরিয়া ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের এমন ভোগান্তি দীর্ঘদিন ধরে। ভারি যানবাহন চলাচল করতে না পারায় বিপদে কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

 

স্থানীয়রা জানায়, বন্যায় ৭ বছর আগে চৌহালী উপজেলার চরনাকালিয়া খালের উপর নির্মিত বক্স কালভার্ট ও রেহাইপুখুরিয়া উত্তর পাড়া বক্স কালভার্ট ভেঙে যাওয়ায় উপজেলার বাঘুটিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের মানুষ আর ১০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা বাঁশ আর কাঠের সাঁকো। গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর কারণে ভোগান্তি পোহান স্থানীয়রা। অস্থায়ী এই সেতু দিয়ে মানুষ কোনভাবে পার হতে পারলেও যানবাহন চলাচল অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। সেতু দিয়ে ভারি যানবাহন চলতে না পারায় বিপাকে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা। স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসলেও কয়েকবার মাটি পরীক্ষা ছাড়া আর কিছু হয়নি। স্থানীয়রা স্থায়ী সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন।

 

স্থানীয় অটোভ্যান চালক আব্দুল মজিদ ভোরের আকাশকে বলেন, এই জায়গায় একটা পাকা ব্রীজের দরকার। বাঁশের সেতু দিয়ে গাড়ি চলে না। গাড়ি উল্টে যায়। ব্রীজটি হলে সবার জন্য ভালো। নিচ দিয়ে যাওয়া-আসা বহু ঝামেলা। বর্ষা মৌসুমে ঝামেলা আরো বাড়ে।

 

কৃষক জামাল শেখ ভোরের আকাশকে বলেন, বাঁশের সেতু দিয়ে পায়ে হেঁটে আসা-যাওয়া করা যায়। কিন্তু মালামাল নিয়ে পার হওয়া যায় না। এখানে পাকা সেতু না হওয়ায় ভোগান্তির শেষ নাই। দ্রুতই একটা পাকা সেতু দরকার।

 

বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম মোল্লা ভোরের আকাশকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এতবড় সেতু করার কোন সুযোগ নেই। এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে দুটি স্থানে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে দুটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। পুরাতন হওয়ায় সেতু দুইটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। এখানে স্থায়ী সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অনুরোধ করা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ইতিমধ্যে রেহাইপুখুরিয়া উত্তর পাড়া ভাঙা স্থানে সেতু নির্মাণের জন্য আমরা প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আরেকটি সেতুর ডিজাইনের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি দ্রুতই টেন্ডার প্রক্রিয়ার কাজ শেষ হবে। সেতু দুটির নির্মাণ কাজ শেষ হলে ১৫ গ্রামের মানুষ আর ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব সহ এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থা আরো উন্নত হবে।

 

ভোরের আকাশ/মি

 

মন্তব্য

Beta version