-->
শিরোনাম

প্রতিবছর কমছে কৃষিজমির পরিমাণ,ইটভাটায় যাচ্ছে মাটি

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
প্রতিবছর কমছে কৃষিজমির পরিমাণ,ইটভাটায় যাচ্ছে মাটি
এভাবে ভেকু দিয়ে কৃষিজমির মাটি কেটে ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে

ঢাকার ধামরাই উপজেলা থেকে প্রতিবছরই কৃষিজমির পরিমাণ কমছে। এর প্রধান কারণ হলো ইটভাটা। বৈধ-অবৈধ এই সকল ভাটার জন্য প্রয়োজন হয় মাটি; আর এসব মাটি সরবরাহ করা হয় কৃষিজমি থেকে। ফলে প্রতি বছর কয়েকশ হেক্টর জমির মাটি চলে যাচ্ছে ইটভাটায়।

সারা ধামরাই উপজেলায় রয়েছে প্রায় ২ শতাধিক ইটভাটা। যার ফলে এগুলো চালানোর জন্য আশপাশের এলাকা থেকে মাটি সরবরাহ করা হচ্ছে। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে আগামী কয়েক বছর পর ধামরাইতে কৃষিজমি থাকবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এসব মাটি কাটার সাথে জড়িত রয়েছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। যার ফলে সাধারণ মানুষ নিরুপায়। সারা উপজেলায় রয়েছে প্রায় অর্ধ শতাধিক মাটি খেকো।

এতে করে সাধারণ মানুষ বলছেন ‘আমরা ধামরাইয়ের মানুষ একসময় শতকরা ৮০ জন লোক কৃষি কাজের সাথে জড়িত ছিলাম। বর্তমানে ধামরাই উপজেলায় ইটভাটা গড়ে ওঠার কারণে কৃষিজমির পরিমাণ কমে যাচ্ছে। এমনভাবে ভাটায় মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, পরে ঐ জমিতে আর কোন ফসল চাষ করার কোন উপায় থাকছে না। জায়গাগুলো দেখলে মনে হয় সেগুলো খালে পরিণত হয়েছে। তিন ফসলি জমি গুলো এখন পানির নিচে।’ কয়েকজন কৃষক বলেন, আমরা কৃষিজমি হারিয়ে ফেলছি খুব দ্রুত। আমাদের দাবি অতি দ্রুত এসব ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়া হোক। যাতে করে কৃষিজমি রক্ষা করা যায়। জমি না থাকলে আমরা খাব কি। তাই আমরা চাই অতি দ্রুত প্রশাসন যেন মাটি কাটা বন্ধের সাথে সাথে ইটভাটাগুলোও বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বলেন, ধামরাইয়ে যে পরিমাণ ইটভাটা রয়েছে, অন্য কোন উপজেলায় এতটা নেই। আর এসব ইটভাটার কাঁচামাল মাটি উপজেলার বিভিন্ন কৃষিজমি থেকে নেওয়া হচ্ছে। তাই আমি মনে করি, কৃষকেরা যদি তার জমির মাটি বিক্রয় না করেন তাহলে কেউ জোর করে মাটি নিতে পারবে না। তাই সবার আগে কৃষকদের ভূমিকা রাখতে হবে কৃষিজমি রক্ষায়।

এ বিষয়ে ইউএনও তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান থেকে যথেষ্ট পরিমাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কৃষকেরা যদি নিজের জমির মাটি বিক্রি করে, সেক্ষেত্রে আমাদের কি করার আছে। তবুও আমরা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version