-->

লাঠিয়াল বাহিনীর আতঙ্কে পাঁচটিকড়ির কয়েকটি পরিবার

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
লাঠিয়াল বাহিনীর আতঙ্কে পাঁচটিকড়ির কয়েকটি পরিবার

আদালতের দেওয়া রায়ে জমি আবাদ করতে গিয়েলাঠিয়াল বাহিনীর হাতে জুলুম-নির্যাতন ও প্রাণ নাশের হুমকির শিকার হচ্ছে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার পাঁচটিকড়ি গ্রামের কয়েকটি পরিবার। প্রতিপক্ষের ভয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পরিবারগুলো। গত কয়েকদিন ধরে লাঠিয়াল বাহিনীর তৎপরতা উদ্বেগ জনকভাবে বেড়ে গেছে।

 

এ আতঙ্কে জমির মামলায় ডিক্রি পাওয়া পরিবার গুলোর অনেক সদস্য ইতোমধ্যে বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এমতাবস্থায় পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

জানা যায়, উপজেলার পাঁচটিকড়ি গ্রামের আফজাল হোসেন ও আদম আলী গংয়ের সাথে আকবর আলী ও আব্দুছ ছাত্তার গংয়ের জমি সংক্রান্ত ঘটনায় দুই যুগধরে দ্বন্দ্ব চলছে। জমি-জমাসংক্রান্ত এ দ্বন্দ্ব মেটাতে ঘাটাইল থানা সহকারী জজ আদালত টাঙ্গাইলে ৬১/২০০৩ বাটোয়ারা মোকদ্দমা করেন আফজাল হোসেনও আদম আলী গং।

আদালত ৪/২০২৩ বাটা ডিগ্রি জারি মোকদ্দমা মূলে ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর নাজির ও পুলিশের সাহায্যে কোর্ট কমিশনারের মাধ্যমে উক্ত ডিগ্রিপ্রাপ্ত ভূমির সীমানা চিহ্নিত করণ খুঁটি ও দখলদানের বাঁশের ঝান্ডা, লালনিশান পুঁতেদিয়ে ঢোল-শহরতের মাধ্যমে ডিক্রি প্রাপ্তজমির দখল বুঝিয়ে দেয়। ১৯ জানুয়ারি আব্দুল আলী ও আব্দুছ ছাত্তারের নেতৃত্বে লাঠিয়াল বাহিনীর সদস্য আশরাফুল তালুকদার, মোহাম্মদ লিখন, মোহাম্মদ ইউসুফ, মোহাম্মদ জুয়েল, মোহাম্মদ মোশারফ, মোহাম্মদ তাইজুল, মোহাম্মদ ছিদ্দিক, মোহাম্মদ আরশেদ, আবুসাইদ, মোহাম্মদ মনি, আশরাফ হোসেন, নজরুল ইসলাম, মোহাম্মদ জুলহাস ও মোহাম্মদ সজীবসহ ৩০-৪০ জন লাঠিয়াল গায়ের জোরে উক্ত খুঁটি তুলে ফেলে।

 

এ ঘটনায় আফজাল হোসেন বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত টাঙ্গাইলে মামলা দায়ের করে। ২৪ জানুয়ারি দায়ের করা সি.আর ৫৬/২০২৪ মামলাটি ঘাটাইল থানায় তদন্তাধীন রয়েছে।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, সরিষা মাড়াইয়ের কাজ এখনো শেষ হয়নি। মাড়াই শেষে ও সিস্যারের নির্দেশ মতোপরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

এস.আই সাজাউল বলেন, ওসি স্যারের নির্দেশে সরিষা জব্দ করে স্থানীয় মেম্বারকে বুঝিয়ে দিয়েছি। পরবর্তীতে নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঘাটাইল থানার ওসি আবু ছালাম মিয়া বলেন, বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছি। তবে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে।

অভিযুক্ত আকবর আলী গং বলেন, আমরা যথাযথ দলিল-দস্তাবেজ দিয়েই জমি ভোগ-দখল করছি। আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ছানি মোকদ্দমা করেছি। আমাদের কোনো বাহিনী নেই।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version