-->
শিরোনাম

নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় ভেঙে পড়লো কালভার্ট

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় ভেঙে পড়লো কালভার্ট
রায়গঞ্জের বন্দিহার গ্রামের ভেঙে পড়া কালভার্টটি

সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বন্দিহার গ্রামে নির্মাণের ৪ দিন পর ভেঙে পড়লো কালভার্ট। প্রায় দেড়মাস আগে কালভার্টটি ভেঙে পড়লেও আজ পর্যন্ত মেরামত করা হয়নি। কালভার্ট নির্মাণে হয়েছে যথেষ্ট অনিয়ম। যে কারণে নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় ভেঙে পড়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

কালভার্টটি ভেঙে পড়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বন্দিহার গ্রামের কৃষকেরা।

সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের বন্দিহার গ্রাম কৃষি প্রধান এলাকা। এখানকার ফসলী জমিতে পানি জমে থাকতো। পানি নিষ্কাশনে কোন পথ ছিলো না। এতে কৃষকরা সমস্যায় পড়েছিলেন। প্রায় এক-দেড় বছর আগে এখানে খাল খনন করা হয় এবং খননকৃত মাটি দিয়ে ফসলী জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়। যাতে কৃষকরা সহজেই ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যেতে পারেন।

উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে ২ লাখ টাকা ব্যয়ে খালের উপর নির্মাণ করা হয় একটি কালভার্ট। কিন্ত কালভার্টটি নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় ভেঙে পড়ে। গত দেড় মাসেও কালভার্টটি মেরামত করা হয়নি। এতে সামনে বোরো মৌসুমে ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। তবে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছেন, নিম্নমানে ইট ও সিমেন্ট দিয়ে কালভার্টটি নির্মাণ করায় তা ভেঙে পড়েছে।

স্থানীয় রেজাউল করীম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘কালভার্টের অবস্থা ভালো না। অনিয়ম হয়েছে, মাপেও সঠিক নেই। নিচে সলিং নেই। ভুয়া ইট। উপরে লোহার রডও নেই। ঠিকাদার কাজে অনিয়ম করেছে। এজন্য নির্মাণের ৪ দিনের মাথায় কালভার্টটি ভেঙে পড়েছে।’

স্থানীয় কৃষক নুরুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ‘এখানে কাঁদা মাটির উপর হালকা বালু ছিটিয়ে কালভার্টের কাজ শুরু করে। তখন আমরা কাঁদা মাটির উপর কাজ না করার জন্য নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের কথা না শুনে নিজেদের ইচ্ছে মতো নিম্নমানের ইট, সিমেন্ট ও লোহার রড না দিয়ে কালভার্ট বানিয়ে চলে যায়। তার ৪ দিন পরেই কালভার্টটি একাই ভেঙে পড়ে যায়। এখন দেড়মাস হয়ে গেলো কেউ কালভার্টটি দেখতে ও মেরামত করতে আসে নাই। এই মৌসুমের ধান কাটার আগে যদি কালভার্টটি মেরামত করে না দেয় তাহলে আমরা ধান কেটে গাড়িতে করে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবো না। আবার আগের মতোই আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হবে।’

রায়গঞ্জ উপজেলার সোনাখাড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি জয়নাল আবদীন ভোরের আকাশকে বলেন, যখন খাল খনন করা হয় তখন আমি বলেছিলাম জমির মধ্য দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করতে। যাতে কৃষকরা ধান কেটে সহজেই বাড়ি নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তারা ১ হাজার ইট এনেছিল, তার মধ্যে ৫০০ ইট তুলে নিয়ে গেছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন ভোরের আকাশকে বলেন, কালভার্ট ভেঙে গেছে সমস্যা নেই। দ্রুত মেরামত করা হবে।

এ বিষয়ে রায়গঞ্জ ইউএনও মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ভোরের আকাশকে বলেন, উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে কালভার্টটি নির্মাণ করা হয়েছিল। অতিরিক্ত মাটির চাপে কালভার্টটি ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। দ্রুতই মেরামত করা হবে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version