ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের বুল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে প্রায় ৫০ জন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
তারা হলেন, কাউসার, শফিকুল, রফিক, জসিম, রিপন, আবু লাল, কাউসার, আবন মিয়া, জয়নাল, লুৎফুর, সাদেকুল, নাজমুল, ওহিদ, তারেক, রামিত, জসিম, সিরাজ, কুশনাহার, রাসেল, নাসির মিয়া, ফায়েজ মিয়া, বিল্লাল মিয়া, আব্দুল্লাহ, আবু তাহের, মোশাররফ, সাকিব, মিলন, মনা মিয়া, নাঈম, হাকিম, শামীম, আবুল হোসেন, মোজাম্মেল, মামুন, মুখলেস, মোহন, জহুরুল হক, আব্দুল্লাহ, ছোট্ট মিয়া, মিলন মিয়া, রিপন মিয়া, জাকির মিয়া, রিপন মিয়া, আব্বাস আলি, তানভীর, আশু মিয়া ও আজগর।
জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বহু আগে থেকেই গ্রামের সবচেয়ে বড় এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝগড়া-মারামারি চলে এসেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৬ মাস আগে বুল্লা গ্রামের নোয়া বাড়ি গোষ্ঠীর কাউসার মেম্বারের মেয়ের সাথে পুরাতন মেম্বার বাড়ির গোষ্ঠীর আব্দুল আহাদের ছেলে মহসীনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দুই পরিবার মেনে না নেওয়ায় তারা গ্রাম থেকে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। নানা বিষয়ে মত-বিরোধের জের ধরে বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সংঘর্ষে স্থানীয় আরও কয়েকটি গোষ্ঠির লোকজন যোগ দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ ঘটনায় অন্তত ৬০-৭০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা করা হয়েছে। আহতদের জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ওসি আসাদুল ইসলাম ভোরের আকাশকে জানান, ঘটনাস্থলে পর্যাপ্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য কাউসার মিয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য