পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে স্ত্রীর সাথে দেখা করতে এসে জনতার হাতে শিকল বন্দি হলেন, সাবেক স্বামী মুন্না ফরাজী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায়।
আজ বুধবার স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ছোট পরী গ্রামের ইউনুস ফরাজীর ছেলে মুন্না ফরাজীর সাথে একই এলাকার কাদেরের মেয়ে কাকুলীর বাল্য প্রেম থেকে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে কাকুলীকে তার অভিভাবকরা ইন্দুরকানী উপজেলার কলারণ এলাকার কবির জোমাদ্দারের সাথে পুনরায় বিয়ে দেন। কবির জোমাদ্দার দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার সুযোগে কাকুলী তার সাবেক স্বামী মুন্নার সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। পরে প্রবাসী স্বামী কবির জোমাদ্দারকে ডিভোর্স দিয়ে আবারও সাবেক স্বামী মুন্নাকে বিয়ে করেন।
কিন্তু ৪ বছর আগে প্রবাসী সাবেক স্বামী কবির জোমাদ্দার বিদেশ থেকে এসে আবারও কাকুলীর সাথে যোগাযোগ করে তাকে বিয়ে করেন। কিন্ত বিয়ের পরও ওই প্রবাসীর স্ত্রী কাকুলী তার সাবেক স্বামী মুন্না ফরাজীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক চালিয়ে যান। ৭-৮ দিন আগে প্রেমিকা কাকুলি উপজেলার বটতলা এলাকায় বেড়াতে আসেন। সোমবার রাতে গোপনে মুন্না ফরাজী কাকুলীর সাথে দেখা করতে আসলে স্থানীয় জনতা তাকে ধরে বেদম মারধর করে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে।
ঘটনাটি জানাজানি হলে মঙ্গলবার বিকালে কাকুলির বর্তমান স্বামী কবির জোমাদ্দার ও ফজলুল হক জোমাদ্দার শিকল বন্দি অবস্থায় মুন্নাকে একটি অটো রিকশায় করে তার গ্রামের বাড়ীতে নিয়ে যাওয়ার পথে ইন্দুরকানী থানা পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশ কবির জোমাদ্দার ও ফজলুল হক জোমাদ্দারকে আটক করেন।
এ ব্যাপারে ইন্দুরাকানী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় মুন্নাকে শিকল দিয়ে আটকে মারধর করার অভিযোগে দুজনকে আটক সহ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া যুবকের নামেও স্ত্রীকে অপহরনের চেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেছেন বর্তমান স্বামী।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য