-->
শিরোনাম

বোরো জমিতে সেচ বন্ধ, জমি ফেটে চৌচির

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বোরো জমিতে সেচ বন্ধ, জমি ফেটে চৌচির
ক্যাপশন: সেচের অভাবে খেত ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে

বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নে বোরো চাষের জমিতে সেচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় ও টাকা নিয়েও জমিতে পানি সেচ না দেওয়ায় কৃষকেরা বৃহস্পতিবার একটি গভীর নলকূপে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে ইউএনও’র নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন।

 

শনিবার দরখাস্ত ও কৃষকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের প্রয়াগপুর মৌজায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন প্রকল্পের একটি গভীর নলকূপ রয়েছে। সেখান থেকে পানি সেচ নিয়ে প্রায় ১’শ একর জমিতে বোরোর আবাদ হয়। গভীর নলকূপটির অপারেটর নটকুমারী গ্রামের রূপালী বেগম হলেও সেটি পরিচালনা করেন তার স্বামী মজিবর রহমান।

 

চলতি বোরো মৌসুমে মজিবর রহমান কৃষকের জমিতে সেচ বাবদ বিঘা প্রতি (০.৩৩শতাংশ) ১৮’শ টাকা এবং প্রতি একর (১০০শতাংশ) ৫ হাজার ৪০০ টাকা হারে দাবি করেন এবং জমি রোপনের সময় সব টাকা পরিশোধ করতে বলেন। কৃষকরা কেউ অর্ধেক, কেউ এক চতুর্থাংশ টাকা দিলেও মজিবর রহমান সমুদয় টাকা না পাওয়ায় সদ্য রোপিত প্রায় ১০০ বিঘা জমিতে সেচ প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে কৃষকদের বোরো খেতের জমি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। কৃষক মানিক উদ্দিনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতির নিকট ৬৮ জন কৃষক অভিযোগ দিয়েছেন।

 

ইউএনও বিষয়টি সমাধানের জন্য বিরামপুর বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তাৎক্ষনিকভাবে সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম ঐ মাঠে গিয়ে কৃষকদের জমি পরিদর্শন করেন।

 

এসময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য শীতলী পাহান ও ফ্লাবিয়াস হেমরম উপস্থিত থাকলেও গভীর নলকূপ পরিচালক মজিবর রহমান রাজশাহীতে অবস্থান করছিলেন। এসময় তার মোবাইল ফোনবন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, গভীর নলকুপের তালা খুলে দেওয়ার জন্য কৃষকদের অনুরোধ করা হয়েছে এবং আজ রোববার শালিস বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। কৃষক প্রতিনিধি মানিক উদ্দিনসহ অন্যান্য কৃষকরা বলেন, মজিবর রহমানকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তারা গভীর নলকূপের তালা খুলবেন না।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version