-->

মসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হলেন টিটু

নিজস্ব প্রতিবেদক
মসিক নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র হলেন টিটু
নির্বাচিত সিটি মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু

ময়মনসিংহ সিটি করর্পোরেশন (মসিক) নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আবারও মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইকরামুল হক টিটু। এ নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪টি। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের উদ্যোগে ভোট গণনা শেষে বেসরকারিভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

 

এ সময় নগরের ১২৮টি ভোট কেন্দ্রের ঘোষিত ফলাফলে মো. ইকরামুল হক টিটু ঘড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজার ৬০৪। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা হাতি প্রতীকে সাদেকুল হক খান মিল্কি টজু পেয়েছেন ৩৫ হাজার ৭৬৩ ভোট। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ঘোড়া প্রতীকে এহতেসামুল আলম পেয়েছেন ১০ হাজার ৭৭৩ ভোট, কৃষকলীগ নেতা রেজাউল হক হরিণ প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৪৮৭ ভোট এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শহিদুল ইসলাম স্বপন মণ্ডল লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ১ হাজার ৩২১ ভোট।

 

এ ফলাফলে মো. ইকরামুল হক টিটু তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর চেয়ে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৪১ ভোট বেশি পেয়েছেন।

 

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ময়মনসিংহের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন চৌধুরী জানান, দিনভর শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। এতে কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

 

সূত্র জানায়, নগরের ৩৩ ওয়ার্ডের মোট ১২৮টি ভোটকেন্দ্রের ৯৯০ বুথে দেড় হাজার ইভিএমে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে চারজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পাঁচজন পুলিশ ও ১২ জন আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সঙ্গে স্ট্রাইকিং ফোর্সের পাশাপাশি ৭ প্লাটুন বিজিবি, ১১ প্লাটুন পুলিশ, আর্মড পুলিশ এবং আনসার সদস্য, ১৭ টিম র‌্যাব ছাড়াও ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ১১ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

 

সূত্রমতে, এ নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র প্রার্থী ছাড়াও নগরের ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৪৯ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ১১টি আসনে মোট ৬৯ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়াই করেছেন। তবে নগরীর ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ফরহাদ আলম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় কাউন্সিলর পদে মোট ৩২টি ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

নির্বাচিত কাউন্সিলররা হলেন, ১নং ওয়ার্ড আসাদুজ্জামান বাবু (টিফিন ক্যারিয়ার), ২নং ওয়ার্ড গোলাম রফিক দুদু (মিষ্টি কুমড়া), ৩নং ওয়ার্ড শরিফুল ইসলাম (লাটিম), ৪নং ওয়ার্ড মাহবুবুর রহমান দুলাল (রেডিও), ৫নং ওয়ার্ড নিয়াজ মোরশেদ (টিফিন ক্যারিয়ার), ৬নং ওয়ার্ড সৈয়দ শফিকুল ইসলাম মিন্টু (টিফিন ক্যারিয়ার), ৭নং ওয়ার্ড আসিফ হাসান ডন (ঘুড়ি), ৮নং ওয়ার্ড ফারুক হাসান (ঠেলাগাড়ি), ৯নং ওয়ার্ড আল মাসুদ (ঠেলাগাড়ি), ১০নং ওয়ার্ড তাজুল আলম (টিফিন ক্যারিয়ার), ১১নং ওয়ার্ড ফরহাদ আলম (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), ১২নং ওয়ার্ড আনিসুর রহমান আনিস (ঘুড়ি), ১৩নং ওয়ার্ড স্বপন সরকার (লাটিম), ১৪নং ওয়ার্ড ফজলুল উজ্জল (লাটিম), ১৫নং ওয়ার্ড মাহবুব আলম হেলাল (টিফিন ক্যারিয়ার), ১৬নং ওয়ার্ড আব্দুল মান্নান (ঘুড়ি), ১৭নং ওয়ার্ড কামাল খান (টিফিন ক্যারিয়ার), ১৮নং ওয়ার্ড হাবিবুর রহমান হবি (টিফিন ক্যারিয়ার), ১৯নং ওয়ার্ড আব্বাস আলী মন্ডল (মিষ্টি কুমড়া), ২০নং ওয়ার্ড সিরাজুল ইসলাম (লাটিম), ২১নং ওয়ার্ড ইশতিয়াক হোসেন একটু (ট্রাক্টর), ২২নং ওয়ার্ড মোস্তফা কামাল (ট্রাক্টর), ২৩নং ওয়ার্ড সাব্বির ইউনুস বাবু (করাত), ২৪নং ওয়ার্ড মো. আসলাম (ঘুড়ি), ২৫নং ওয়ার্ড ওমর ফারুক সাবাস (মিষ্টি কুমড়া), ২৬নং ওয়ার্ড শফিকুল ইসলাম শফিক (ঠেলাগাড়ি), ২৭নং ওয়ার্ড শামসুল হক লিটন (ঠেলাগাড়ি), ২৮নং ওয়ার্ড কায়সার জাহাঙ্গীর আকন্দ (ট্রাক্টর), ২৯নং ওয়ার্ড রাশেদুজ্জামান রোমান (ঠেলাগাড়ি), ৩০নং ওয়ার্ড বাশার (ঠেলাগাড়ি), ৩১নং ওয়ার্ড সেলিম উদ্দিন সেলিম (ট্রাক্টর), ৩২নং ওয়ার্ড আবু বক্কর সিদ্দিক সাগর (ঝুড়ি), ৩৩নং ওয়ার্ড শাহজাহান মুনির (ট্রাক্টর)।

 

সংরক্ষিত মহিলা আসনের বিজয়ী কাউন্সিলররা হলেন, ১, ২, ৩ নং ওয়ার্ড, জনাব সেলিনা আক্তার। ৪, ৫, ৬ নং ওয়ার্ড জনাব শাম্মী আক্তার মিতু। ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ড জনাব হামিদা পারভীন। ১০, ১১, ১২ নং ওয়ার্ড জনাব রোকসানা শিরিন। ১৩, ১৪, ১৫ নং ওয়ার্ড জনাব রোকেয়া হোসেন। ১৬, ১৭, ১৮ নং ওয়ার্ড জনাব রোকসানা পারভীন কাজল। ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ড জনাব শামীমা আক্তার। ২২, ২৩, ২৪ নং ওয়ার্ড জনাব শাহানাজ বেগম। ২৫, ২৬, ২৭ নং ওয়ার্ড জনাব আইরিন আক্তার। ২৮, ২৯, ৩০ নং ওয়ার্ড জনাব কাওসার-ই-জান্নাত। ৩১, ৩২, ৩৩ নং ওয়ার্ড জনাব মোছা. ফারজানা ববি কাকলি।

 

মোট বৈধ ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪৮ টি। অবৈধ (বাতিলকৃত) ভোটের সংখ্যা ৪৯১। সর্বমোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৩৯। প্রদত্ত ভোটের শতকরা হার ৫৬.৩০%।

 

প্রসঙ্গত, এ নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৪৯৬ জন। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩২ জন পুরুষ এবং ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৫৫ জন নারী ভোটার ছিলেন। এছাড়াও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিলেন ৯ জন।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version