খেতে সুস্বাদু দেখতে সুন্দর রঙ্গিন ফুলকপি। এই কপি ক্যান্সার প্রতিরোধে সালাদ হিসাবে চীন দেশে খুবই জনপ্রিয়। পরীক্ষামূলকভাবে যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় ৬০ শতাংশ জমিতে চাষ হচ্ছে রঙ্গিন ফুলকপি। এই সবজি চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলেছেন ৩ কৃষক।
যশোর জেলার শার্শা উপজেলার শিকারপুর, ডুপপাড়া ও শ্যামলাগাছি এলাকার ৩ কৃষক যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের অর্থায়নে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের সহযোগিতায় চাষ করেছেন রঙ্গিন ফুলকপি। দুটি জাতের ফুলকপির মধ্যে গোলাপি রঙের ফুলকপির নাম ভ্যালেন্টিনা ও হলুদ রঙের ফুলকপির নাম ক্যারোটিনা। সাদা ফুলকপির চেয়ে এই দুই জাতের রঙিন ফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। দেখতে সুন্দর এ কপি অর্ধসিদ্ধ করে খাওয়া যায়। সাদা রঙের ফুলকপির চেয়ে রঙিন ফুলকপির বাজার মূল্য বেশী। চারা রোপনের ৭০/৮০ দিনের মধ্যে রঙ্গিন ফুলকপি বিক্রি করা যায়। একটি কপি এক থেকে দেড় কেজি ওজনের হয়ে থাকে। অল্প খরচে বেশী লাভ ও চাহিদা থাকায় রঙ্গিন ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছে চাষীরা।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দিপক কুমার সাহা বলেন, যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় যশোরের শার্শা উপজেলায় প্রথমবারের মত চাষ হয়েছে রঙ্গিন ফুলকপি। ক্যারোটিনা ও ভ্যালেন্টিনা নামের দুই রকমের জাত রয়েছে। জৈবিকভাবে নিরাপদ ফসল উৎপাদনে চাষীদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বাজারে এ ফুলকপির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অল্প খরচে বেশী লাভ হওয়ায় চাষীরা রঙ্গিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য