পিরোজপুরের নাজিরপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবন নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর (এসও) উপস্থিতিতেই নির্মান কাজে ওই অনিয়ম করা হয়।
জানা গেছে, ৬ কোটি টাকা ব্যায়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট ভবনের কাজ প্রায় শেষের পথে ও এর সাব-স্টেশন ভবন নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। ২০২২ সালে ওই নির্মাণ কাজের সর্বনিম্ন দরদাতা হিসাবে কাজটি পান পোদ্দার কন্সট্রাকশন নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীরা জানান, নির্মাণ কাজের শুরু থেকেই বিভিন্ন অনিয়নের মাধ্যমে হাসপাতালের মূল ভবনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। সাব-ষ্টেশন নির্মাণের কাজে লোহার শাটারিং এর নির্দেশ থাকলেও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কোন ধরনের নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে বাঁশ ও কাঠের শাটারিং দিয়ে ১১ মার্চ ওই ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ করেন।
সরেজমিনের গিয়ে দেখা গেছে, নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রাসেল কবিরের সামনেই ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলছে। তাকে কাজে অনিয়মের কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, কাজটি আগের মূল্যে। বর্তমানে নির্মান সামগ্রীর দাম অনেক বেশী হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের কাজে লোকসান হবে।
কাজের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ২০২২ সালে এ কাজের টেন্ডারের একই সময় সারা দেশে এমন আরো কয়েকটি ভবন নির্মানের কাজের টেন্ডার হয়েছে। কিন্তু কাজে লোকসাননের ভয়ে সে সব কাজ করা হয় নি। কাজে সামান্য কিছু অনিয়ম হতে পারে।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের পিরোজপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আফসার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কাজটি পুরানো দরে। অনেক ঠিকাদরাই কাজ করছেন না। কাজটি সম্পন্ন করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কিছু ছাড় দেয়া (সুবিধা) হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মো. মশিউর রহমান বলেন, কাজের তদারকির বিষয়ে কমিটি আছে। তাদের কোন ধরনের পূর্ব তথ্য ছাড়াই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তাদের খেয়াল খুশি মতো কাজ করেন। তাই তদারকি কমিটি কাজের যথাযথ তদারকি করতে পারেন নি। অনিয়মের বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগকে ফোনে জানানো হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য