কক্সবাজারের টেকনাফ হ্নীলার অপহৃত মাদ্রাসা শিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) ৯ দিন পরও উদ্ধার হয়নি। এর মধ্যে পুলিশ অপহরণ ঘটনায় ব্যবহৃত অটোরিকশার চালক ও সংঘবদ্ধ চক্রের নারী সদস্য সহ চক্রের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
এর মধ্যেই অপহৃত শিশুর পরিবারে ফোন করে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে চক্রটি। এনিয়ে উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় রয়েছে শিশুর স্বজনরা।
(১৯ মার্চ) মঙ্গলবার দুপুরে এ তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেপ্তাররা হল, টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ খানের স্ত্রী উম্মে সালমা, একই ক্যাম্পের বাসিন্দা লায়লা বেগম, কোবরা বেগম ও মোহাম্মদ হাশেম এবং উদ্ধার করা অটোরিকশার চালক নাছির উদ্দিন। এরা সকলেই রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ (৬) টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী এলাকার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর ছেলে। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্র। ৯ মার্চ দুপুরে ক্লাস শেষে বাড়ী ফিরছিল শিশু শিক্ষার্থী ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ। মাদ্রাসার কিছুটা দূরে পৌঁছলে পথিমধ্যে তাকে থামিয়ে বোরকা পরিহিত এক নারী দুর্ঘটনায় মায়ের মাথা ফেটে যাওয়ার কথা জানায়। দুপুরে হাসপাতালে মাকে দেখতে যাওয়ার কথা বলে ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ’কে ওই নারী অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়।
ওসমান গনি বলেন, ঘটনার দিন সন্ধ্যায় অপহৃত শিশু ছোয়াদ বিন আব্দুল্লাহ এর মা নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণ ঘটনার কাজে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করতে সক্ষম হয়।
পরে ১০ মার্চ সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। পরবর্তীতে সিসিটিভির ফুটেজ ও গ্রেপ্তার অটোরিকশা চালকের স্বীকারোক্তি মতে ১২ মার্চ টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ অপহরণকারি চক্রের আরও ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে উম্মে সালমা ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে বুধবার (১৩ মার্চ) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এছাড়া ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিদের দেওয়া তথ্য মতে জড়িত অন্যদেরও ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।
এদিকে ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার ও অপহৃত মাদ্রাসা ছাত্রকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলে জানান ওসি ওসমান গনি।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য