দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম গৌরিপাড়া যমুনা নদীর ধারে ১ যুগ আগে ফুলবাড়ী পৌরসভা কর্তৃক প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কসাইখানা নির্মাণ করা হয়। সেখানে কসাইয়েরা নিয়মিত দোকান বসালেও বর্তমানে সেই জায়গা পর্যায়ক্রমে একটি কু-চক্রী মহল দখল করে নিচ্ছে। ফলে সেখানে আর কসাইখানা নেই।
শহরে প্রায় ৩০টি পয়েন্টে মাংস বিক্রির দোকান রয়েছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সেই দোকানগুলিতে কসাইয়েরা চৌকি বিছিয়ে মাংস বিক্রয় করছে। কসাইয়েরা গরু ক্রয় করে এনে কোন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই। কখন, কিভাবে জবাই করছে তা দেখার কেউ নেই। সেই মাংসগুলি এনে টাঙ্গিয়ে বিক্রয় করছে।
এর মধ্যে অনেকে আড়ালে কম দামের রোগাক্রান্ত গরু ক্রয় করে এনে জবাই করে বিক্রয় করছে। এভাবে ফুলবাড়ীতে যত্রতত্রভাবে গরু জবাই করে কসাইরা মাংস বিক্রয় করছেন।
এই কসাইখানাটি নির্মানে ব্যয় হলেও এক সময় ব্যবহার হত। কিন্তু এক যুগ পরে এই কসাই খানাটি ব্যবহার না হওয়ায় এখন কেউ কেউ দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে। এই কসাইখানাটি পূর্বের ন্যায় সংস্কার করে কসাইদেরকে একত্রিত করে আগের মত চালু করা গেলে শহরের আনাচে-কানাচে মাংস বিক্রয় করা বন্ধ হয়ে যাবে। সাধারণ মানুষ এক জায়গা থেকে হালাল মাংস কিনতে পারবে।
ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র কশাই খানাটি চালুর উদ্দ্যোগ নিলেও এখন আর তার প্রতি কোন গুরুত্ব নেই। পুরাতন এই কসাইখানাটি চালু করতে স্থানীয় বিভিন্ন মহল পৌরসভা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
ভোরের আকাশ/ মি
মন্তব্য