ঈদ মানেই খুশি আর সেই সাথে নতুন কাপড় পরিধান, এরই অংশ হিসেবে ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কালীগঞ্জের দর্জিরা।
গ্রাহকের রুচি আর পছন্দের সাথে তাল মেলাতে ব্যস্ত পোষাক কারিগররা। সময় আর আধুনিকতা এসবের সাথে তাল মিলিয়েই নিত্য নতুন পোশাক তৈরিতেই এখন তাদের মনোযোগ। কখনও সালোয়ার কামিজ বা কখনো পাঞ্জাবি তৈরিতে মেশিনে অবিরত চলছে খরখর শব্দ। দর্জিপাড়ার কর্মব্যস্ত কর্মীরা। জমছে নতুন নতুন পোশাকের সারি। ঈদ ধনী-গরিব, নারী-পুরুষ ছোট বড় সকলে নতুন নতুন জামা কাপড় পরিধান করে থাকে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার সকালে কালীগঞ্জ বাজারের দর্জি দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, ছোট বড় প্রতিটি দোকানেই সেলাই কাজের প্রচুর কাজের চাপ। সামনে ঈদ তাই রুজি-রোজগারের একমাত্র সম্বলটি যেন এক মুহুর্তের জন্যও বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। চাহিদা মতো নতুন পোশাক পেয়ে ক্রেতারাও খুশি। পছন্দ মতো পোশাক বানাতে ক্রেতারা ছুটে যাচ্ছেন টেইলার্সগুলোতে, কারিগরদের এক মুহূর্তের জন্য অবসর নেই।
এ প্রসঙ্গে কালীগঞ্জ ব্যাংকের মোড় এলাকার স্টাইল টেইলার্সের সত্বাধিকারী মাখন দাস বলেন, ঈকে সামনে রেখে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছি। শবে বরাতের পর থেকেই ক্রেতারা ঈরে পোশাকের অর্ডার দিচ্ছেন।
শিল্পি টেইলার্স এর সত্বাধিকারী প্রহল্লাদ দাস বলেন, পছন্দের পোশাকের জন্য রেডিমেড থ্রি-পিস ও থানকাপড় কিনে ক্রেতারা পাড়ি জমাচ্ছেন দর্জি দোকান গুলোতে। ক্রেতাদের পছন্দ মতো পোশাক বানাতে গভীর রাত পর্যন্ত দোকান খোলা রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
বাজারে পোশাক নিতে আসা কয়েকজন ক্রেতা বলেন, আর কিছুদিন পর আমাদের ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ছেলে মেয়েদের নতুন পোশাক নিতে বাজারে আসছি। কিন্তু পোশাকের যে দাম আমরা কিনতে হিমশিম খাচ্ছি। আমরা যারা কম আয়ের মানুষ আছি তাদের জন্য খুবই কষ্টকর। পোশাকের দাম বাড়লেও আমাদের তো আর আয় বাড়েনি।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য