-->
শিরোনাম

নিবিড় পল্লী অঞ্চলেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া

মাদারীপুর প্রতিনিধি
নিবিড় পল্লী অঞ্চলেও লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া
ক্যাপশন: ওয়াজেদা কুদ্দুস ফাউন্ডেশন হাসপাতাল

উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে নিবির পল্লী অঞ্চলেও। যার সুফল ভোগ করছেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। জেলা সদর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার পাঁচখোলা গ্রামটি এখন দেখলে মনে হবে এটা একটা উপ-শহর। এক সময় এখানে ছিলো জলাশয় আর আর দুর্গম নদী পারাপার। এখন এখানেই নির্মিত হয়েছে ওয়াজেদা কুদ্দুস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন প্রবীণ নিবাস, হাসপাতাল, নার্সিং ইন্সটিটিউট, কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্র, এতিমখানা, স্কুল, কলেজ, আধুনিক অডিটরিয়াম, মসজিদ, মাদ্রাসা, টিএমএসএস-এর কেন্দ্র, কমিউনিটি পুলিশিং কেন্দ্র, পল্লী বিদ্যুতের অফিসসহ বিভিন্ন ধরনের সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা। মানুষের যাতায়াতের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে পাকা সড়ক।

 

এসব প্রতিষ্ঠা করেন, মাদারীপুরের পাঁচখোলা গ্রামের কৃতি সন্তান সাবেক সিনিয়র সচিব, দেশী ও বিদেশী বিভিন্ন সংস্থার সভাপতি, বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের সাবেক কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।

 

এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, ওয়াজেদা-কুদ্দুস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে পাঁচখোলা গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে দেশের মধ্যাঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ও আধুনিকমানের ওয়াজেদা কুদ্দুস প্রবীণ নিবাস। প্রবীণদের জন্য ভবনের প্রতিটি থাকার কক্ষকে সাজানো হয়েছে আধুনিক ও মানসম্মত করে। কক্ষগুলোতে রয়েছে এসি, সোফা, খাট, আলমারী, চেয়ার-টেবিল, আয়না ও বাথরুম। ভবনের ভেতরে প্রবেশ করলে মনে হয় এ যেন একটি উন্নত মানের হোটেল। কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও এতিমখানাকেও সুসজ্জিতভাবে সাজানো হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ ও ছয় তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় ভবনগুলোতে রয়েছে লিফটসহ আধুনিক সব সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান।

 

ইতোমধ্যে নার্সিং ইন্সটিটিউট এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও প্রবীণ নিবাসে যারা থাকবেন তাদের বিভিন্ন ধরনের বই পড়ার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন বড় একটি লাইবে্িরর। ক্যাম্পাসের ভিতরে হাটার জন্য সুন্দর ওয়াকওয়ে। অনেক বছর পূর্বে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি হাই স্কুল গ্রামে প্রতিষ্ঠিত হলেও বর্তমানে তার আধুনিকীকরণ করা হয়েছে। স্কুল ও কলেজ ক্যাম্পাসের মধ্যে নির্মিত আধুনিক ও উন্নতমানের অডিটরিয়াম রয়েছে।

 

গ্রামের ছেলে-মেয়েদের এসএসসি পাস করার পর দূরদূরান্তে যেত হতো কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য। গরীব, অসহায়, মেধাবী শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে একটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। কলেজের নামকরণ করা হয় ড. মো. মোজাম্মেল হক খান কলেজ। কলেজের শিক্ষকদের জন্য একটি চারতলা বাসভবন ও শিক্ষার্থীদের জন্য ছাত্রাবাস নির্মাণ করা হয়েছে। গ্রামের মাটির কাচা সড়ক এখন বড় পাকা সড়কে পরিণত হয়েছে।

নির্মিত হয়েছে মসজিদ, টিএমএসএস-এর কার্যক্রমের জন্য বরাদ্ধ করেছেন অফিস ভবন, কমিউনিটি পুলিশিং কেন্দ্র, পল্লী বিদ্যুতের অফিসসহ বিভিন্ন ধরণের স্থাপনা। এ সব প্রতিষ্ঠান করার ফলে বদলে গেছে পুরো পাঁচখোলা গ্রামের চিত্র। প্রতিষ্ঠানগুলোতে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক শিক্ষিত বেকার যুবকের।

 

পাঁচখোলা গ্রামের ওয়াহিদুজ্জামান খান বাতেন বলেন, ওয়াজেদা কুদ্দুস ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ড. মো. মোজাম্মেল হক খানের উদ্যোগে আজ পাঁচখোলা গ্রামসহ মাদারীপুরের চিত্র বদলে গেছে। জেলার প্রথম প্রবীণ নিবাস তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। পাশাপাশি বহু সমাজসেবামূলক প্রতিষ্ঠান করেছেন। মাদারীপুর জেলায় এক সাথে এত প্রতিষ্ঠান আর কোথাও নেই। আমরা পাঁচখোলাবাসী ড. খানের জন্য গর্বিত।

 

ড. মো. মোজাম্মেল হক খান কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল হালিম মিয়া বলেন, মাদারীপুরের পরবর্তী প্রজন্মকে একটি শিক্ষিত প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চান ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। তাঁর একটি বিখ্যাত স্লোগান সন্তান আপনার, তাকে মানুষ করার দায়িত্ব আমাদের।’ এই কর্মসূচিকে বাস্তবায়ন করার জন্য তিনি তিনটি প্রতিষ্ঠানকে অত্যন্ত নান্দনিকভাবে গড়ে তুলেছেন।

 

ওয়াজেদা-কুদ্দুস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত হয়েছেন সকলেই মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করেছে। আমি শুধুমাত্র তাঁদেরই অনুকরণ ও অনুসরণ করেছি। মানব কল্যাণের সার্থকতা হচ্ছে মানুষের কল্যাণের জন্য ব্রতী হওয়া এবং সাধ্যমত অবদান রাখা।

 

ভোরের আকাশ/মি

 

মন্তব্য

Beta version