-->
শিরোনাম

অনুকূল আবহাওয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
অনুকূল আবহাওয়ায় তরমুজের বাম্পার ফলন
ক্যাপশন: ঝালকাঠির খেতের তরমুজ

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ঝালকাঠিতে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ভালো ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকের মুখে।

 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এ বছর ৭৭ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে, রাজাপুর উপজেলায় ৪০ হেক্টর, নলছিটি উপজেলায় ২৮ হেক্টর, ঝালকাঠি সদর উপজেলায় ৫ হেক্টর ও কাঁঠালিয়া উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।

 

জেলার সবচেয়ে বড় তরমুজ খেত রাজাপুর উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের মানকি সুন্দর ও বরইয়া ইউনিয়নের পালট গ্রামে। মানকি সুন্দর চরে প্রায় ৭০ একর জমিতে একটি তরমুজ খেত রয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য কবির হোসেনের নেতৃত্বে কৃষকরা একত্রিত হয়ে এখানে তরমুজ আবাদ করেছেন।

 

খেতটি বিষখালী নদীর তীরবর্তী হওয়ায় পানি দেওয়ায় কৃষকদের সুবিধা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাইকাররা এখান থেকে নৌপথে তরমুজ নিয়ে যাচ্ছেন। ৩ দিন পূর্বে এখানকার তরমুজ বিক্রি শুরু হয়েছে। আকারভেদে ২০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত প্রতিটি তরমুজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে।

 

চাষিরা জানান, ঝালকাঠির তরমুজ খেতে সুমিষ্ট। তাই দেশব্যাপী এর সুনাম রয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আর পাইকাররা সরাসরি খেত থেকে তরমুজ কেনায় কৃষকের লাভ বেশি হচ্ছে।চাষিরা এ সময় অভিযোগ করেন, খেতে তরমুজ পিস হিসেবে বিক্রি হলেও কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিয়ে গিয়ে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন।

 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও তরমুজ চাষি মো. কবির হোসেন বলেন, গত পাঁচ-ছয় বছর ধরে আমরা তরমুজ চাষ করছি। এবার ফলন ভালো হয়েছে। আশা করি লাভবান হতে পারব। তরমুজ চাষি মামুন মোল্লা বলেন, তরমুজ বিক্রির মৌসুম কেবল শুরু হয়েছে। আমাদের এখানকার তরমুজ আকারে বড় ও মিষ্টি হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বরিশাল, পিরোজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আমাদের তরমুজ যাচ্ছে।

 

ঝালকাঠি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মুনিরুল ইসলাম বলেন, কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তরমুজ চাষিদের সব ধরণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলন ভালো হয়েছে। আশা করা যায়, কৃষকরা এ বছর লাভবান হবেন।

 

ভোরের আকাশ/মি

মন্তব্য

Beta version