বাগেরহাটের কচুয়ায় পুকুর ইজারা গ্রহণ নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় শরীফ তুহিন মাহমুদ নামের এক ক্লিনিক ব্যবসায়ী আহত হয়েছেন। হামলাকারীরা লুট করে টাকা নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া গ্রামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই গুরুত্বর আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী তুহিনকে ওই রাতেই কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
হামলার শিকার শরীফ তুহিন মাহমুদ রাড়িপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং সাইনবোর্ড ক্লিনিক এ্যান্ড ডায়গনস্টিক সেন্টারের পরিচালক। হামলাকারীদের সাথে উপজেলার গোয়ালমাঠ কৃষি কলেজের পুকুর ইজারা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আজ শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যবসায়ী শরীফ তুহিন মাহমুদ বলেন, স্থানীয় রাসেল গাজী, আক্তারুজ্জামান অনু, সোহাগ সরদারসহ অন্তত ১২-১৩ জন আমাদের বাড়িতে যায়। আমার বাবার ফোন দিয়ে আমাকে ফোন করলে, ক্লিনিক থেকে আমি বাড়িতে যাই। বাড়িতে গিয়ে টাকার ব্যাগ ঘরে রেখে, বাইরে আসলে রাসেল গাজী আমাকে বলে ‘তুই গোয়ালমাঠ কৃষি কলেজের পুকুর ইজারা নিবি না এবং পুকুরের কাছেও যাবি ন ‘ বলে হুমকি দেয়। তখন বলেছি ‘নিয়ম অনুযায়ী পেলে অবশ্যই পুকুর ইজারা নেব’ এই বললেই রাসেল গাজী পিস্তল দিয়ে আমাকে আঘাত করে। এক পর্যায়ে সবাই মিলে আমাকে মারধর করে। আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লে, তারা মৃত ভেবে আমাকে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
তুহিন আরও বলেন, ক্লিনিকের ষ্টাফদের বেতন ও বোনাস দেওয়ার জন্য সাড়ে চার লাখ টাকা ব্যাগে নিয়ে ঘরে রেখেছিলাম। জ্ঞান ফিরে আর ওই টাকাগুলো পাইনি। যারা হামলা করেছে, তাদের মধ্যে হয়ত কেউ ঘরের মধ্যে ঢুকে টাকাগুলো নিয়ে গেছে। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. মোস্তাফিজুর রহমান স্বাধীন বলেন, আহত রোগীর মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নাক, মুখ থেকে রক্তক্ষরণ হয়েছে। দাঁত নড়ে গেছে, তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
কচুয়া থানার ওসি মো. মহসীন হোসেন বলেন, আহত ব্যবসায়ীর পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে আমাদের জানিয়েছে। তাকে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য