-->
শিরোনাম

রমজানে অপরিপক্ব তরমুজ কিনে ঠকছেন ক্রেতারা

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
রমজানে অপরিপক্ব তরমুজ কিনে ঠকছেন ক্রেতারা
ক্যাপশন: খানসামার দোকানে তরমুজের পসরা

চলমান পবিত্র মাহে রমজানে চৈত্রের দাবদাহ না থাকলেও দিন দিন তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাতে একটু শীতের পরশ লাগলেও সকাল গড়িয়ে দুপুর নামতেই শুরু হয় গরম। ইফতারে জনপ্রিয় রসালো ফল তরমুজ। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা তরমুজের অতিরিক্ত দাম নিয়ে ঠকছে ক্রেতা সাধারণকে। খুচরা বাজারে এই ফলের দাম এখন প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অধিক মুনাফা পেতে ক্ষেত থেকে তোলা হচ্ছে অপরিপক্ব তরমুজ। কৃষকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা পিস হিসেবে কিনলেও চড়া দামে ক্রেতাদের তা কিনতে হচ্ছে কেজি দরে।

 

তারপরও দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাজারগুলোতে যে তরমুজ মিলছে, তার বেশিরভাগ পরিপক্ব নয়। কাটার পর ভেতরে লাল রং ধারণ করলেও এখনো মিষ্টতা আসেনি পুরোপুরি। ফলে এসব অপরিপক্ব তরমুজ চড়া দামে কিনে প্রতারিত হচ্ছেন ক্রেতারা। আর বর্তমান চড়া বাজারে নিম্নবিত্তদের তরমুজ কিনে খাওয়ার সাধ্যের বাইরে। তাই অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে সরকারকে বাজার মনিটরিংয়ে নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান ভোক্তাদের।

 

শনিবার উপজেলা গেটের সামনে ফলের দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, রমজানে সুযোগ নিচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। কৃষকের কাছ থেকে পিস হিসেবে তরমুজ কিনে কেজি হিসেবে বিক্রি করছেন তারা। তাও চড়া দামে। ফলে অনেক ক্রেতার ইচ্ছে থাকার পরও দাম বেশির কারণে কিনতে পারছেন না। অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, মোকামেই যদি কিনতে দাম বেশি পড়ে, তাহলে তো বেশি দামে বিক্রি করতেই হবে।

 

কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার উপজেলায় কেউ আবাদ করেনি এই তরমুজ। তাই বাহির থেকে আনা হচ্ছে। পাইকারি ফল বিক্রেতা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রমজান মাস শুরু হয়েছে, তাই আগেই তরমুজ বাজারে এসেছে। কারণ রোজাদাররা টাকা বেশি দিয়ে হলেও একটু ফল মুখে দিতে চান। ইফতারে নতুন নতুন ফল রাখতে চান। সঙ্গে আবার গরমও পড়তে শুরু করেছে।’ তবে চড়া দামে কেজিতে তরমুজ বিক্রিতে প্রশাসনের কড়া নজরদারির কথা বলছেন ক্রেতারা। পিস হিসেবে তরমুজ কিনতে চান তারা।

 

তরমুজ কিনতে আসা ফারুক হোসেন বলেন, ‘রোজা বলেই তরমুজ কিনতে এসেছি। তবে দাম অনেক বেশি চাচ্ছে। তা ছাড়া তরমুজগুলো অপরিপক্ব। বেশি বড় হয়নি। কেজি দরে একটি তরমুজ কিনতে গেলে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা পড়ে যাচ্ছে। যদি দামটা ৩০-৪০ টাকা কেজি হতো তাহলে আমাদের মতো মানুষদের সুবিধা হতো। মানুষের কষ্টের কথা ভেবে অসাধু ব্যবসায়ী ও বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকারের আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন।‘

 

ভোরের আকাশ/মি

 

মন্তব্য

Beta version