-->
শিরোনাম

জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা
স্থানীয় দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়

ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে জমে উঠেছে কেনাকাটা। তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটায় স্থানীয় হাটবাজারের দোকানগুলো সরগরম হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে শিশু, কিশোরসহ বাড়ির সব বয়সী সদস্যদের জন্য পোশাক, জামা-জুতা, কসমেটিক বা প্রসাধনীসামগ্রীর কম দামে কিনতে দোকানে নারী-পুরুষ পদচারণায় এরইমধ্যে জমে উঠেছে ঈদ বাজার।

 

এমনই চিত্র দেখা গেছে, দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটগুলোতে। দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বগতির কারণে রমজানের শুরুতে ক্রেতার আনাগোনা একেবারেই নেই বললেই চলে, তবে কয়েকদিনে জমে উঠেছে ঈদ বাজার।

 

কৃষি প্রধান এলাকা হিসেবে খানসামা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের মার্কেটগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এ অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার গরিব লোকজন, শ্রমিক, নিম্নআয়, নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষজন তাদের সাধ্যের ওপর নির্ভর করে বাজারে গিয়ে কেনাকাটা করছেন। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে মার্কেট ও দোকানগুলো সাজানো হয়েছে বাহারি বর্ণিল আলোকসজ্জা। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে ভিড়। তবে দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতাদের অভিযোগ। কম বা সাশ্রয়ী দামে জিনিসপত্র কিনছেন অনেকেই।

 

ঈদের পোশাক কিনতে আসা স্কুল শিক্ষক মো. রাশেদ ইসলাম বলেন, ‘রমজানের শেষের দিকে বাজারে অতিরিক্ত ভিড় ও অতিরিক্ত দামের কারণে আগেভাগেই ঈদের কেনাকাটা সেরে নিচ্ছি। তবে গতবারের চেয়ে এবার পোশাকের দাম অনেক বেশি।‘

 

জুতা কিনতে আসা হোটেল ব্যবসায়ী মো. আমু বলেন, ‘পরিবারের জন্য জুতা কিনতে এসেছি। আগের চেয়ে দাম একটু বেশি। আমরা গরিব মানুষ সাধ্যের মধ্যে যতটুকু জুটে, সেরকমই কিনব।’

 

বিক্রেতারা বলেন, ঈদ ঘিরে মেয়েদের পোশাকের মধ্যে সারারা, গারারা, কাট, নায়রা এবং ছেলেদের পোশাকের মধ্যে কাতুয়া, ফতুয়া, সুলতান ও সুলতান কিং পাঞ্জাবিসহ বাহারি নামের পোশাক বেশি সাড়া ফেলেছে।

 

আবেদীন বস্ত্রালয় এন্ড গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী গোলম কিবরিয়া বলেন, ‘এ বছর ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে থাকা মেয়েদের সারারা ও ছেলেদের সুলতান পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন দামে।’

 

খানসামা বাজারের ইতি গার্মেন্টসের মালিক মো. আজিমুল ইসলাম বলেন, ‘রোজার শেষের দিকে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। প্রতিদিন নিত্য নতুন ডিজাইনের পোশাক আমদানি করছি। ক্রেতারা তাদের সাধ্যমত কেনাকাটা করছেন। আশা করছি এবার বিক্রি ভালো হবে।’

 

পোশাকের পাশাপাশি নারী ক্রেতারা প্রসাধনীর দোকানেও ভিড় করছেন। প্রসাধনী বিক্রেতারা জানান, প্রতিবারের ন্যায় নারীরা বেশি আসতেছেন। তারা তাদের পছন্দমতো প্রসাধনী কিনছেন। এছাড়াও বেড়েছে জুতা-স্যান্ডেলের বিক্রি।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version