ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি তেলবাহী লরি উল্টে গেলে এতে আগুন ধরে যায়। এ সময় আশপাশে থাকা আরও চারটি গাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এ দুর্ঘটনায় একজন নিহতের পাশাপাশি দগ্ধ হয়েছেন আরও সাতজন। আজ মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক ৫টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভারের জোড়পুল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম নজরুল ইসলাম (৪৫)। আর দগ্ধ সাতজনের মধ্যে পাঁচজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন আ. সালাম (৩৫), মিলন মোল্লা (২০), আল আমিন (৩০), নিরঞ্জন (৪৫) ও মিম (১০)।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, তেলবাহী লরি থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে তরমুজবোঝাই একটি ট্রাক, একটি সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি প্রাইভেট কার পুড়ে যায়। নিহত ব্যক্তি সিমেন্টবোঝাই ট্রাকের চালকের সহকারী ছিলেন। ট্যানারি ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের পাশাপাশি সাভার ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট কাজ করে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। দগ্ধ প্রাইভেট কারচালক আ. সালাম জানান, তিনি হেমায়েতপুরে সিএনজি পাম্প থেকে গ্যাস নিয়ে ঢাকার দিকে ফিরছিলেন।
তবে হেমায়েতপুর জোড়পুল এলাকায় একটি তেলের ট্যাংকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় এতে আগুন ধরে যায়। ট্যাংকারের আশপাশে থাকা অনেকগুলো গাড়িতে আগুন ধরে যায়। আ. সালাম আরও জানান, তাঁর প্রাইভেট কারে কোনো যাত্রী ছিল না। যখন প্রাইভেট কারটিতে আগুন ধরে যায়, তখন তিনি দৌড়ে গাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মাথার একপাশে ও পায়ে দগ্ধ হন। দগ্ধ মিলন মোল্লার (২০) স্ত্রী জান্নাতি জানান, তাঁর স্বামী সিমেন্ট বহনকারী গাড়ির লেবার। ভোরে ওই গাড়িতে করে কাজে যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় ওই গাড়িতে আগুন লেগে গেলে তিনি দগ্ধ হন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা জানান, হেমায়েতপুরের আগুনের ঘটনায় আটজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকি সাতজনকে ভর্তি করা হয়েছে। ঢাকা জোন ৪-এর উপসহকারী পরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘সড়ক বিভাজকের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায় তেলবাহী লরি, পরে আগুন লেগে যায়। আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশপাশের গাড়িতেও।
আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। নিহত একজনের মরদেহ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনার পর ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ গিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য