-->
শিরোনাম

৪০.২‌ ডিগ্রী তীব্র তাপদা‌হে পুড়‌ছে চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
৪০.২‌ ডিগ্রী তীব্র তাপদা‌হে পুড়‌ছে চুয়াডাঙ্গা
চল‌তি মৌসু‌মের সকল রেকর্ড ভে‌ঙ্গে ৪০ দশ‌মিক ২‌ ডিগ্রী তীব্র তাপদা‌হে পুড়‌ছে চুয়াডাঙ্গা। চুয়াডাঙ্গায় টানা বেশকদিন ধরেই তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস কর‌ছে জনজীবন। দিনে ও রাতে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত আর্দ্রতা কমবে না।
 
 
আজ শ‌নিবার দুপুর ৩ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ২২ শতাংশ।
 
 
বাংলা মা‌সের আজ ২৩ চৈত্র হ‌লেও জেলায় এখন পর্যন্ত কোনো বৃষ্টির দেখা নেই।
 
 
চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেশ কয়েকদিন ধরে  ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রির মাঝামাঝি অবস্থান কর‌লেও। আজ শ‌নিবার জেলায় চল‌তি মৌসু‌মের সকল রেকর্ড ভে‌ঙ্গে তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রী পে‌রি‌য়ে ৪০ দশ‌মিক ২ ডিগ্রী‌তে উ‌ঠে‌ছে।
 
 
এক‌দি‌কে তাপদাহ অন্য‌দি‌কে লোডশে‌ডিং এর কার‌ণে জনজীবন আ‌রো বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। বেশি সমস্যায় পড়ছে খেটে-খাওয়া ও রোজা থাকা মানুষ। দুপুরের পর থেকে সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।
 
 
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সূর্যের প্রখরতা, ভ্যাপসা গরম ও বাতাসে অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারণে গরম অনুভূত হচ্ছে। শ‌নিবার দুপুর ১২টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশ‌মিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ২৭ শতাংশ।
 
 
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্য‌বেক্ষণাগা‌রের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রা‌কিবুল হাসান জানান, গত কয়েকদিন ধরে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছি‌লো। চল‌তি মৌসু‌মের সকল রেকর্ড ভে‌ঙ্গে আজ তাপমাত্রার পারদ উ‌ঠে‌ছে ৪০ দশ‌মিক ২ ডিগ্রী সেল‌সিয়া‌সে। 
 
 
সোমবার চুয়াডাঙ্গার মাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্প‌তিবার ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও শুক্রবার ছিল ৩৮ দশ‌মিক ০ ডিগ্রী সেল‌সিয়াস।
 
 
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা বাসস্ট্যা‌ন্ডে অ‌টো‌রিকশা নি‌য়ে গা‌ছের ছায়ায় ব‌সে থাকা অ‌টোচালক জাহাঙ্গীর বলেন, প্রচ‌ন্ড গর‌মে মানুষ বাই‌রে বের হ‌চ্ছে না। মানুষ বের না হ‌লে ভাড়া মার‌বো কি ভা‌বে। তাই ব‌সে অলস সময় কাটা‌চ্ছি। সামনে আর কয়েকদিন বাদে ঈদ, ভাড়ার যা অবস্থা ঈ‌দের কেনা কাটা কিভা‌বে কি কর‌বো বুঝ‌তে পার‌ছি না। অতি গরমের কারনে মানুষ রাস্তায় কম বের হচ্ছে। এজন্য আমাদের ভাড়া হচ্ছে না। 
 
 
ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version