সীতাকুণ্ড পৌরসভার লালদীঘির দক্ষিণ-পূর্ব পাড়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু সুলতান সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলিত থাকলেও সম্প্রতি পৌরমেয়রের কার্যকর প্রচেষ্টায় কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
৬নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্র্ণ সড়কটিতে রয়েছে পৌরসভার অর্থায়নে এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সদ্য নির্মিত পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টার। রয়েছে সীতাকুণ্ড সরকারি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, সীতাকুণ্ড উন্নয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্বাংশে কথাকলি উচ্চ বিদ্যালয়, কথাকলি কিন্ডার গার্ডেন ও খেলার মাঠ এবং শেষ প্রান্তে রয়েছে ব্যস্থতম কলেজ রোড। মোড়ের পূর্বাংশের সড়কটিও পৌরসভার অর্থায়নে দৃষ্টিনন্দন উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
সড়কটি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের শিবচতুদর্শী মেলায় আগত তীর্থযাত্রীরা বিকল্প সড়ক হিসেবে যুগ যুগ ধরে ব্যবহার করে আসছে। সড়কটির একমাত্র মোড়ে অবস্থিত বৃহত্তম খেলার মাঠ। খেলাধুলা ছাড়াও জাতীয় দিবসগুলোর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজনসহ শিবচর্তুদশী মেলায় আগত হাজার হাজার তীর্থযাত্রীরা ওই মাঠে অবস্থান ও গাড়ী পার্কিংয়ের কাজে ব্যবহার করে আসছে। সড়কটির উন্নয়নে পৌরবাসী ছাড়াও লাভবান হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ভ্রমণপ্রেমীরা।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও রেলওয়ে লাইনের মধ্যাংশে অবস্থিত সড়কটির দক্ষিণাংশে খেলার মাঠ, দুটি দিঘী, গাড়ী পার্র্কিং সুবিধা আর নিরিবিলি মনোরম পরিবেশে দারুণ আকৃষ্ট হচ্ছেন ভ্রমণপ্রেমীরা। এক সময় সড়কটির এ বেহাল দশায় গাড়ী নিয়ে চলাচল দূরের কথা স্কুলগামী শিশুরা একসঙ্গে হেঁটেও চলাচল করতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। স্কুলগামী বাচ্চাদের আসা যাওয়ায় নিয়মিত উদ্বিগ্ন থাকত অভিভাবকরা। সড়কটির উন্নয়নে সে দিন আর নেই।
স্থানীয় কাউন্সিলর দিদারুল আলম এ্যাপোলো বলেন, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়নে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ হয়েছে। পৌরসদরে সড়কটি যোগাযোগ ব্যবস্থার অনন্য অবদান রাখবে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাওন হোটেলের সত্ত্বাধিকারী মো. রবিউল হোসেন বলেন, পৌরসভার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ওয়ার্ডের বিকল্প সড়ক হওয়া সত্ত্বেও বার বার উন্নয়ন উপেক্ষিত সড়কটি কার্পেটিং দ্ধারা উন্নয়নে এলাকায় মনোরম পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
একই কথা বলেন, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য ও সীতাকুণ্ড কিশোর ফুটবল টিমের প্রশিক্ষক মো. আব্দুস ছালাম ও ডা. মো. কামাল উদ্দিন।
পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম বলেন, পৌরভবন সংলগ্ন বীর মুক্তিযোদ্ধা টিপু সুলতান সড়কটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবহেলিত থাকলেও এলাকাবাসীদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে মান সম্পন্ন নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারে কার্পেটিং দ্ধারা উন্নয়ন করা হয়েছে। সড়কটিতে রয়েছে পৌরসভার অর্থায়নে এমজিএসপি প্রকল্পের আওতায় সদ্য নির্মিত পৌরসভা কমিউনিটি সেন্টার। ব্যস্ততম কলেজ রোডের বিকল্প হিসেবে অনেকটা প্রশস্থ করে সড়কটি কার্পেটিং দ্বারা উন্নয়ন করা হয়েছে। সড়কটি পৌরএলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমি আশাবাদী।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য