রাজশাহীর বাঘায় বৃষ্টির অভাবে পদ্মার চরে দাবদাহে মরে যাচ্ছে বিভিন্ন ফসল। কাক্সিক্ষত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে একাধিকবার সেচ দিয়েও খেতের ফসল বাঁচাতে পারছেন না কৃষক।
বাঘা উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। গত বছর ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছিল। উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের বর্গাচাষি সাজদুল ইসলাম ৩ বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছেন। কিন্তু অনাবৃষ্টি আর প্রচণ্ড খরতাপের কারণে তার জমির পাট মরে যাচ্ছে। তার জমির বেশিরভাগ পাটগাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে।
সরেজমিন উপজেলার চকরাজাপুর পদ্মার চরে গিয়ে দেখা যায়, পদ্মার চরে রোদে পুড়ে নষ্ট হচ্ছে শত শত বিঘা জমিতে আবাদ করা পাট, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল। এরমধ্যে ভালো দামের আশায় এ বছর পাটের আবাদ বাড়লেও পানির অভাবে মাথায় হাত পড়েছে চাষিদের।
চলতি মৌসুমে জমি বর্গা নিয়ে ৩ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন, কালীদাশখালী চরের আশরাফুল ইসলাম। অনাবৃষ্টি আর প্রচণ্ড খরতাপে জমির বেশিরভাগ গাছ পুড়ে মরে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
বাঘা পৌর এলাকার গাওপাড়া গ্রামের ভুট্টা চাষি আমিরুল ইসলাম সড়কঘাটের নিচে কালীদাশখালী পদ্মার চরে আড়াই বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। বৃষ্টির অভাবে তার জমির অধিকাংশ ফসল পুড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি খুব চিন্তায় আছেন বলে জানান।
তিনি বলেন, কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মেলেনি। মাঠঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। ক্ষরায় পাটগাছের পাতা শুকিয়ে কুচকে যাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লাহ সুলতান বলেন, দীর্ঘদিন এলাকায় বৃষ্টি না হওয়ায় মাঠে রোপণ করা আবাদ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে পদ্মার বালুচরে যে আবাদ হবে, সেই আবাদ না করে চাষিরা অন্য আবাদ করে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চরে বাদামের আবাদ করলে এই ক্ষতিটা চাষিদের হতো না।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য