গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় পাশের ইউনিয়নে হেলিকপ্টার নিয়ে বিয়ে করতে গেলেন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মো. হযরত আলী। আজ (৩ মে) শুক্রবার বিকালে বিয়ে শেষে হেলিকপ্টারে করে নতুন বউকে নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।
বর মো.হযরত আলী সাদুল্লাপুর উপজেলার ভাতগ্রাম ইউনিয়নের বুজরুক-জামালপুর গ্রামে বাসিন্দা। তাঁর বাবা ভাতগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবারের একমাত্র ছেলে হযরত আলী। পিতার শখের মুলত হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করা। আজ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন জামালপুর ইউনিয়নের মিরপুর-ইসবপুর গ্রামের কৃষক এনামুল হকের মেয়ে রিপা মনির সঙ্গে হযরত আলী বিয়ে হয়।
তিনি বেলা আড়াইটায় উপজেলার ভাতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠ থেকে হেলিকপ্টারে করে স্থানীয় বাদশা মিয়ার ইট ভাটার মাঠে নামেন। গুগল ম্যাপের হিসাব অনুযায়ী এই দুই স্থানের দূরত্ব ৭ কিলোমিটার।
ভাতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠ থেকে তিনি কনের বাড়িতে যান। তার আগেই বরপক্ষের লোকজন কনের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হন। মধ্যাহ্নভোজের পর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনেকে নিয়ে তিনি হেলিকপ্টারে ওঠেন।
বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তিনি ভাতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজ মাঠে নববধূকে নিয়ে অবতরণ করেন। সেখান থেকে ঘোড়ার গাড়িতে করে বাড়িতে যান। বর-কনেসহ হেলিকপ্টারটি ওই মাঠে নামালে উৎসুক এলাকাবাসী সেখানে ভিড় করেন।
বর হয়রত আলী ভোরের আকাশকে বলেন, বিয়েকে স্মরণীয় করে রাখতে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। হেলিকপ্টারে করে বউ আনতে পেরে তিনিসহ পরিবারের সবাই খুশি। তাঁর বাবা,মা ,দাদিসহ পরিবারের সবার যৌথ উদ্যোগে তাঁর জন্য এ আয়োজন করা হয়। হেলিকপ্টারে চড়ে শ্বশুরবাড়িতে আসতে পেরে নতুন বউও খুব খুশি।
স্থানীয় বাসিন্দা সকিয়া বেগম (৬৫) বলেন, হেলিকপ্টারে বরযাত্রী আসার বিষয়টি তাঁদের এলাকায় প্রথম। স্থানীয় বাসিন্দারা বিয়ের অনুষ্ঠান খুবই উপভোগ করেছেন।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য