-->
শিরোনাম

বিষয়খালী এলাকা যেন মৃত্যুফাঁদ, ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
বিষয়খালী এলাকা যেন মৃত্যুফাঁদ, ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা
ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালী এলাকা এখন যেন মৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে। তাই সড়কটি দ্রুত মেরামত করা না হলে ঘটতে পারে বড় ধরণের যেকোনো দুর্ঘটনা। এমনকি মহাসড়কটি এখন মেঠো সড়কে পরিণত হয়েছে।

 

বিষয়খালীর বটতলা নামক স্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত ১০০০ থেকে ১২০০ ফিট রাস্তা এখন তাই ছোট-বড় দুর্ঘটনায় পরিণত হয়েছে মৃত্যুর ফাঁদে। গত দুই সপ্তাহ ধরে এই সড়কটি এতটাই বেহাল যে প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। এই সড়ক এখন দেখলে মনে হবে না এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক। ঝিনাইদহ-যশোর সড়কটি এখন পুরোপুরি মেঠো সড়কে পরিণত হয়েছে। মেঠো সড়কে যেমন গরুর গাড়ী চলতে চলতে (গ্রামের ভাষা অনুযায়ী) পয়ান হয়ে যায়। এখন ঠিক এ-ই মহাসড়কটি পয়ানে পরিণত হয়েছে। তাই দু’সপ্তাহের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনও ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ মেরামতের জন্য নেয়নি কোনো উদ্যোগ।

 

এই সড়কে চলাচলকারী হাজারো যাত্রী ও গাড়ী চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই প্রতিনিয়ত চলছে পথ। প্রতিদিনই অকেজো হয়ে পড়ছে অসংখ্য গাড়ী। এরই ফলে সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। এই সড়কে এপ্রিল মাসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুপথযাত্রী হয়ে বিছানায় কাতরাচ্ছেন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিপুর গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা রুবেল হোসেন।

 

প্রত্যক্ষদর্শী চা ব্যবসায়ী রাকিব হোসেন বলেন, প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেল ছিটকে পড়ছে রাস্তায়। আর চা বানানো বাদ দিয়ে দৌঁড়ে গিয়ে তাদের জীবন বাঁচাতে এগিয়ে গিয়েছি। এই দুই সপ্তাহে শত শত মোটরসাইকেল যাত্রী আহত হয়েছেন। কখন না জানি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এই সড়কে।

 

এলাকাবাসীর দাবী, ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের বিষয়খালীর বটতলা নামক স্থান থেকে রাকিবের চায়ের দোকান পর্যন্ত সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করে চলাচলের উপযোগী করে দেবার। আর তা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যেকোন সময়।

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগ বলছে, ঝিনাইদহ-যশোর সড়ক উইকেয়ার সেকশন (ফেজ-১) ছয় লেন প্রকল্পের অধীন সড়কটি হস্তান্তর করার কারণে ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের এখন আর করার কিছু নেই। এখন সড়কের সকল সমস্যা প্রকল্পের মাধ্যমে সমাধান করবে।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version