সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিয়ে এক প্রার্থী গোপন বৈঠক করায় ৫ প্রিসাইডিং অফিসার সহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এতথ্য জানান সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল।
সোমবার রাতে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুল রহমান মন্ডল বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার তাদের আদালতে পাঠানো হবে।
আটককৃতরা প্রিসাইডিং অফিসাররা হলেন, যমুনা ডিগ্রী কলের সহকারী অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, এসবি রেলওয়ে কলোনী স্কুল এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ পুলিশ লাইনস স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রভাষক মো: আবু সামা , বাহুকা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক বাচ্চু কুমার ঘোষ, জনতা ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার ইয়াসিন আরাফাত ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মীর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, রোববার রাত ৮টার দিকে খবর আসে, কতিপয় প্রিসাইডিং অফিসার একজন প্রার্থীর পক্ষে গোপন বৈঠক করছেন। খবরটি জানান সাথে সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ এবং রিটানিং অফিসার তাৎক্ষনিক অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু তাদেরকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। তারা কোনোভাবে খবর পেয়ে দ্রুত সরে যান। পরবর্তীতে রিটানিং অফিসার এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ দায়ের করার পর পুলিশ সুপার প্রযুক্তি ব্যবহার করে জড়িতদের প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করে ৫ প্রিসাইডিং অফিসারসহ ঘটনার মূলহোতা জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি আমিনুর ইসলামকে গ্রেপ্তার করে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম ভোরের আকাশকে বলেন, ঘটনার সঙ্গে ১০ জন প্রিসাইডিং অফিসারের জড়িত থাকার বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের পরিবর্তন করে নতুন প্রিসাইডিং অফিসারকে নিয়োগ দিয়েছি। পাশাপাশি আমরা প্রার্থীকে শোকজ করেছি। তিনি শোকজের জবাব দিয়েছেন। পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করবো।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য