-->
শিরোনাম

গাইবান্ধার দুই উপজেলায় চলছে ভোট গ্রহণ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধার দুই উপজেলায় চলছে ভোট গ্রহণ

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ি দুটি উপজেলাতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

 

এদিকে সকাল থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে দু’একজন করে ভোটার আসছেন গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলার কঞ্চিপাড়া এমএইউ একাডেমী ভোট কেন্দ্রে। সেখানে দেখা যায় ভোটারের উপস্থিতি খুবই কম। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়বে বলছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।

 

এর আগে মঙ্গলবার দুপুর থেকে দুই উপজেলার ১৬৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুর্গম চরাঞ্চলে নির্বাচনী সরঞ্জাম ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পৌঁছানোর কাজ শুরু করা হয়।

 

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সাতটি ইউনিয়ন নিয়ে ফুলছড়ি উপজেলার ৬০টি কেন্দ্রের ২৯৮টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী ১৭টি সহ মোট ৩১৫টি ভোটকক্ষে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে সমতলে ৩০টি এবং চরাঞ্চলে ৩০টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহনের দায়িত্ব পালন করছেন ৬০ জন প্রিসাইডিং, ৩১৫ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ৬৩০ জন পোলিং অফিসার।

 

এ উপজেলায় ১ লাখ ২৬ হাজার ৪০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ৬২ হাজার ৯৭১ জন ও নারী ৬৩ হাজার ৬৯ জন। ফুলছড়িতে চেয়ারম্যান পদে ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ৬ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্বিতা করছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুৎবিহীন ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭টি এবং ৪৬টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।

 

অন্যদিকে দশটি ইউনিয়ন নিয়ে সাঘাটা উপজেলার ১০৩টি কেন্দ্রের ৫৮৪টি স্থায়ী এবং অস্থায়ী ৭৭টি সহ মোট ৬৬১টি ভোটকক্ষে নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরমধ্যে সমতলে ৯৯টি এবং চরাঞ্চলে ৪টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহনের দায়িত্ব পালন করছেন ১০৩ জন প্রিসাইডিং, ৬৬১ জন সহকারী প্রিসাইডিং এবং ১ হাজার ৩২২ জন পোলিং অফিসার। এ উপজেলায় ২ লাখ ৪১ হাজার ৭১২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ লাখ ২০ হাজার ৬৫৩ জন, নারী ১ লাখ ২১ হাজার ৫৯ জন।

 

সাঘাটা উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান পদে সামশীল আরেফিন টিটু সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান নির্বাচিত হওয়ায় এখানে ওই পদে ভোট হচ্ছে না। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্বিতা করছেন। এ উপজেলায় বিদ্যুৎবিহীন ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪টি এবং ৩৮টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ।

 

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আব্দুল মোত্তালিব বলেন, নির্বাচনে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষতার সাথে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ প্রতিরোধ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং স্ট্রাইকিং ফোর্সকে দিক নির্দেশনা প্রদানের জন্য ১৭ জন বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালনের জন্য বিজিবি’র ৬ প্লাটুন সদস্য, র‌্যাবের ২ টি করে মোট ৪ টি টিম, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচনী এলাকায় ২ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

 

তিনি বলেন, এরআগে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রদান এবং তাদের সকল ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনকালীন সময়ে আগ্নেয়াস্ত্র পরিবহন ও প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্বাচনী পরিবেশ পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সম্মানীত নাগরিকদের সমন্বয়ে ভিজিল্যান্স টিম নির্বাচনি এলাকায় কাজ করছেন।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version