গাইবান্ধা শহরের স্টেশন রোডে চুরিপট্টিতে অগ্নিকান্ডে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে অগ্নিকান্ডের এ ঘটনা ঘটে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো- মাহিম স্টোর, তামিম সুতা ঘর, নিউ সুতা ঘর, সনি রেকসিন হাউজ, তপু জরি ঘর, রাইসা রেকসিন হাউজ, সোহেল স্টোর, নিতাই চন্দ্র সাহা ও সুতা ঘর। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের শিশু খাদ্য, সুতা, প্রসাধনীসহ মনোহারী দ্রব্যাদী পুড়ে অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে তাৎক্ষনিকভাবে অগ্নিকান্ডের কারন নিশ্চিত করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করে শহরের চুরিপট্টিতে সনি রেকসিন হাউজ নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুণের লেলিহান শিখা দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে মুহুর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুণ নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করলেও আগুন দ্রুত ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর দেয়া হয় গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌছে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে। ব্যবসায়ীদের ধারণা বৈদ্যুতিক সটশার্কিট থেকে আগুণের সূত্রপাত হতে পারে। আগুনে অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী ব্যবসায়ীদের।
গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। কারণ কিছু প্রতিষ্ঠানে পটকা, তেল ও কসমেটিকস ছিলো। পটকাগুলো ফুটে আগুন বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
তিনি বলেন, আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে তদন্তে করা হচ্ছে। আগুনে ছোট বড় ১০টি প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এখনই বলা যাচ্ছে না।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য