-->

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন

মাসুদ রানা. সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীতে তীব্র ভাঙন
ক্যাপশন: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার জালালপুর গ্রামে নদী ভাঙন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুর থানার জালালপুরে তীব্র নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত কয়েকদিন হলো যমুনা নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। গত ২৪ ঘন্টায় (বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় ৪ সেন্টিমিটার বেড়েছে। পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নদীর তীরবর্তী নিম্নঞ্চল ও ফসলী জমি। পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

 

বিশেষ করে জালালপুর গ্রামে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে। বৃহস্পতিবার জালালপুর গ্রামে যমুনার ভাঙনে ৭টি বসতবাড়ি, ফসলী জমি, পরিত্যাক্ত বসতবাড়ি, নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে পড়েছে ভাঙনের মুখে রয়েছে জালালপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জালালপুর রাহেলা খাতুন হাফিজিয়া মাদ্রসা, বাঐখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসত ভিটা ও ফসলী জমি।

 

ভাঙনের মুখে থাকা স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন এলাকাবাসী। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক হাসানুজ্জামন বলেন, গত তিন দিন হলো আবারও যমুনা নদীতে পানি বাড়ছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ৬টায় যমুনা নদীর সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্ট এলাকায় পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার। একই সময় বৃহস্পতিবার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৭১ সেন্টিমিটার। গত ২৪ ঘন্টায় পানি বেড়েছে ৪ সেন্টিমিটার।

 

জালালপুর গ্রামের আলহাজ্ব হোসেন বলেন, গত বুধবার রাত থেকে জালালপুর গ্রামের তীব্র নদী ভাঙন শুরু হয়। মুহূর্তের মধ্যে ঘরবাড়ি, ফসলী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার সারাদিন নদী ভাঙন অব্যাহত ছিলো। ৭টি বাসতবাড়ি ভেঙে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের মুখে থাকা স্থাপনা ভেঙে অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন গ্রামবাসী। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (পুর), বেলকুচি পাওর উপ-বিভাগ মো: মিল্টন হোসেন বলেন, ভাঙন রোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রায় দুই মাস যাবত জালালপুর এলাকায় ভাঙন রোধে বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/মি

 

মন্তব্য

Beta version