-->
শিরোনাম

ডুবতেই থাকবে চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
ডুবতেই থাকবে চট্টগ্রাম

সামিউর রহমান থাকেন নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায়। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সামিউর প্রতিদিন সিএনজিচালিত অটোরিকশায় আগ্রাবাদ এলাকার নিজ কর্মস্থলে যান। বছরের অন্য দিনগুলোতে তেমন সমস্যা না হলেও সোমবার সকালে তৈরি হয় বিপত্তি। এ বিপত্তি হলো জলাবদ্ধতার।

 

রাতভর বৃষ্টির কারণে অনেকটা জানাই ছিল সকালে পানিতে ডুবে থাকবে নগরী। যে কারণে অন্যদিন সকাল সাড়ে আটটায় বের হলেও আজ আধাঘণ্টা আগেই বের হলেন অফিসের উদ্দেশ্যে। বাসা থেকেই বেরিয়েই শুরু হয় বিপত্তি। প্রবর্তক, কাতালগঞ্জ, চকবাজার, মুরাদপুরসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায় অটোরিকশাগুলো এ সড়কেও পেলেন না। পরে বাসার সামনে থেকে অনেকটা বাধ্য হয়েই আড়াইশ টাকায় একটি রিকশা ভাড়া করে যাচ্ছিলেন আগ্রাবাদ এলাকায়। প্রবর্তক মোড়ে তখনও হাঁটুপানি।

 

সামিউর বলেন, ‘বিগত ৬-৭ বছর ধরে আমরা ডুবছি, নগরী ডুবছে। মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালও খনন করা হলো, কিন্তু এখনো সুফল এলো না। এখানে নাগরিক হিসেবে নিশ্বাস ফেলা ছাড়া আমাদের কিই-বা করার আছে। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজগুলো পরিকল্পনাহীন।’

 

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে হওয়া বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগরীর চকবাজার, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, বাদুড়তলা, শুলকবহর, মোহাম্মদপুর, কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ, কালারপোল, বড়পোল, হালিশহরসহ বিভিন্ন এলাকা। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্তও এসব এলাকায় জলাবদ্ধতা ছিল। বৃষ্টি হলেই এ এলাকাগুলোই সব সময় আগে ডোবে।

 

জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান ৪ প্রকল্প

 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে চট্টগ্রাম শহরে চলমান সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার চারটি প্রকল্পে এরই মধ্যে ৮ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তবু প্রকল্পগুলো পুরোপুরি শেষ হলে বর্তমান জলাবদ্ধতার অর্ধেকও কাটবে না। সমন্বিত স্মার্ট বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সেবা সংস্থাগুলোর সমন্বয় এবং নাগরিকদের সচেতন করা গেলেই চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতার সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন তারা। তবে সামনের দিনগুলোতে জলাবদ্ধতা সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে মনে করছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

 

বিগত ১০ বছর ধরে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে তা সমন্বয়হীনভাবেই। রাজনৈতিক জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি সরকারি সংস্থাগুলোর রয়েছে রশি টানাটানি। বর্তমানে ১৪ হাজার ৩৮৯ কোটি ৩৬ লাখ টাকার চারটি প্রকল্প চলমান। চার প্রকল্পই বাস্তবায়ন করছে সরকারের আলাদা তিন সংস্থা। তিন সংস্থাই তিনটি আলাদা মন্ত্রণালয়ের অধীন।

 

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) ৮ হাজার ৬২৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ শীর্ষক মেগাপ্রকল্প এবং ২ হাজার ৭৭৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার ‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটিসহ ১০ হাজার কোটি টাকার দুটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পগুলোর ভৌত অগ্রগতি ৭০ শতাংশ। সিডিএ গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন।

 

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। ২০১৭ সালের ৯ আগস্ট প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। ওই সময়ে প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৬১৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। বর্তমানে ৩ হাজার ১০ কোটি ১২ লাখ টাকা বাড়ানো হয়। চলতি বছরের ৩০ জুন প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা থাকলেও বর্তমানে সংশোধন হয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ২০২৬ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত।

 

‘কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৭ সালে। দুই দফা সংশোধিত হয়ে চলতি বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এর মধ্যে প্রকল্পের ৭০ শতাংশের কাছাকাছি অগ্রগতি হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ আরও এক বছর বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুন করার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে সিডিএ।

 

প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব দাশ বলেন, ‘কালুরঘাট থেকে চাক্তাই পর্যন্ত কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটি করোনার কারণে বেশি বিলম্বিত হয়েছে। জমি অধিগ্রহণসহ নানান কারণে প্রকল্পে সময়ক্ষেপণ হয়েছে। বর্তমানে প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৭০ শতাংশ। আগামী বছরের জুনের মধ্যেই প্রকল্পটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’

 

নগর ব্যবস্থাপনার মূল নিয়ন্ত্রক চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) এক হাজার ৩৬২ কোটি ৬২ লাখ টাকার ‘নগরের বারইপাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খাল খনন’ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এটিরও ৭০ শতাংশ অগ্রগতির কথা বলা হচ্ছে। চসিক স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পটি মূলত নেওয়া হয় ২০১৩ সালে। ২০১৪ সালের ২৪ জুন প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হয়। প্রথমে ২০১৭ সালে পরে ২০২০ সালে প্রকল্পটি শেষ করার কথা ছিল। তারপরেও ব্যর্থ হয়ে কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে চলতি বছরের ৩০ জুন প্রকল্পটি শেষ করার কথা। তাতেও প্রকল্পটির ৭০ শতাংশ এগিয়ে নিতে পেরেছে চসিক।

 

এক হাজার ৬২১ কোটি টাকার ‘চট্টগ্রাম মহানগরীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ, জলমগ্নতা বা জলাবদ্ধতা নিরসন ও নিষ্কাশন উন্নয়ন’ শীর্ষক আরেকটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন প্রতিষ্ঠানটির ১০ বছর আগে নেওয়া প্রকল্পটি এখনো ৩০ শতাংশ অগ্রগতি হয়নি। বিগত প্রায় ৫ বছর ধরে প্রকল্পটি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে।

 

প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রকল্পটি অনুমোদন দেয় একনেক। চলতি বছরের ৩০ জুন কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। বর্তমানে প্রকল্পে ভৌত কাজের পরিধি কমিয়ে ২০২৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ করতে চাইছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

 

পাউবো চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী শিবেন্দু খাস্তগীর বলেন, ‘প্রকল্পটি নেওয়া হয় ২০১৬ সালে। এখন ২০২৪ সাল। এর মধ্যে বাজারে নির্মাণসামগ্রীর দাম বেড়ে গেছে। যে কারণে প্রকল্পের ঠিকাদাররা যথাসময়ে কাজ করতে পারেনি। তাছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়নে নানান প্রতিবন্ধকতা ছিল। বিশেষ করে প্রকল্পে বন্দরের মধ্য দিয়ে ১২ কিলোমিটার ফ্ল্যাশওয়াল ছিল। বন্দর কর্তৃপক্ষ সেটি করতে দিচ্ছে না। সেই কাজটি বাদ দিতে হচ্ছে। যে কারণে পুরো প্রকল্পটি রিভাইস করতে হচ্ছে। এখন সংশোধিত প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবনায় আগামী বছরের ৩০ জুনের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।’

 

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে মেগাপ্রকল্পটি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। এ প্রকল্পে ছোট নালা-ড্রেন নির্মাণ থেকে শুরু করে খাল খনন এবং কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি প্রবেশ রোধে বিভিন্ন ভৌত কর্মকাণ্ড চলমান। তবে প্রকল্পে নালা, ড্রেন নির্মাণ করা হলেও সেবা সংস্থাগুলোর পানি-গ্যাসের সংযোগ লাইন, বিদ্যুৎ কিংবা আন্ডারগ্রাউন্ড টেলিফোন ক্যাবলগুলো রয়ে যাচ্ছে আগের মতোই। আবার যত্রতত্র নালা-ড্রেন কিংবা খালে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা যায়নি। যে কারণে শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নালা-ড্রেনগুলোতে পানি নিষ্কাশন এখনো স্বাভাবিক পর্যায়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ড্রেনগুলোতে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে ময়লা-আবর্জনা। যাতে রয়েছে পলিথিন-প্লাস্টিকের ছড়াছড়ি।

 

৬ মে অল্প বৃষ্টিতেই নগরীর জুবিলী রোডের তিনপুলের মাথা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে যায়। পাশাপাশি বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুরাদপুর, শুলকবহর, কাতালগঞ্জ, পাঁচলাইশ, প্রবর্তক মোড়, ২ নম্বর গেট, ডিসি রোড, ওয়াসা মোড় এলাকায় মূল সড়ক ডুবে যায়। কোথাও দুই ঘণ্টা কোথাও তারও বেশি সময় ধরে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।

 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ওইদিন ১১৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। ওই সময়ে কর্ণফুলী নদীর সংযোগ খালগুলোতে পানি না থাকলেও নগরীর মধ্যস্থলে জলাবদ্ধতা হয়েছে। যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি তৈরি করে। সামনের বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিয়ে নিয়ে উদ্বিগ্ন নগরবাসী।

 

সিডিএর জলাবদ্ধতা নিরসন মেগাপ্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘বর্ষাকালে চট্টগ্রাম শহরের ১১০টি লোকেশনে জলাবদ্ধতা হয়। এর মধ্যে বিগত কয়েক বছরের জলাবদ্ধতার ট্রেন্ড আমরা অ্যানালাইসিস করে দেখেছি ১০০টি লোকেশনে জলাবদ্ধতা হয় সাকুল্যে ছয়টি খালের পানি নামার প্রতিবন্ধকতার কারণে। বিশেষ করে বির্জা খাল, বির্জা এক্সটেনশন, চশমা, চাক্তাই ডাইভারশন ও মহেশখাল রয়েছে। আমাদের প্রকল্পটিতে ৩৬টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে ওই ৬টিও অন্যতম।’

 

তিনি বলেন, ‘চলতি বছর আমরা জলাবদ্ধতা কমানোর জন্য ওই ৬টি খালসহ ৩৬টি খাল পুনর্খননের উদ্যোগ নিয়েছি। এরই মধ্যে সন্তোষজনকভাবে খালগুলো পুনর্খনন করা হয়েছে। গত ৬ মে যে বৃষ্টি হয়েছে তাতে জলাবদ্ধতা হলেও ৪৫ মিনিট থেকে ১২০ মিনিটের মধ্যে তা নেমে গেছে। এটা আশাজাগানিয়া। বর্তমানে আমাদের টার্গেট, বৃষ্টির সময় কীভাবে পানি দ্রুত নামার সুযোগ করে দেওয়া যায়। এজন্য আমাদের আওতায় যেসব পানি চলাচলের নেটওয়ার্ক রয়েছে, সেগুলো আমরা সচল রেখেছি।’

 

শহরে ১৬শ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এর ২৫ শতাংশও নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণে নেই। যে খালগুলোতে কাজ হয়েছে সেগুলো দিয়ে পানি নেমে যেতে তেমন সমস্যা হবে না বলে জানাচ্ছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, পুরো চট্টগ্রাম শহরের চারপাশে ৪১টি রেগুলেটর রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের প্রকল্পে ছয়টি রেগুলেটর, এর মধ্যে পাঁচটি পুরোপুরি কার্যকর। সংশোধিত প্রস্তাবনায় একটি নতুন করে প্রকল্পে যুক্ত হয়েছে। এটির কাজও চলমান। এক বছরের মধ্যে কাজটা শেষ করা যাবে। সবগুলো রেগুলেটর কার্যকর না হলে এবং কর্ণফুলীর জোয়ারের পানি আটকানো না গেলে জলাবদ্ধতা দূর করা কষ্টসাধ্য।’

 

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরের খালগুলো ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আমরা একদিক দিয়ে ১৫ দিন ধরে খালের আবর্জনা পরিষ্কার করে আসতে আসতেই পুনরায় ঢেকে যায় পুরো খাল। নগরবাসী সচেতন না হলে এ সমস্যা পুরোপুরি সমাধান সম্ভব নয়। তাছাড়া চট্টগ্রাম শহরে ৫৭টি খাল রয়েছে। এর মধ্যে আমাদের প্রকল্পে রয়েছে ৩৬টি খাল। আরও ২১টি খাল রয়ে গেছে।’

 

একটি গবেষণার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে স্মার্ট গার্বেজ ম্যানেজমেন্ট প্রয়োজন। চট্টগ্রাম শহরে প্রতিদিন আড়াই হাজার টন আবর্জনা তৈরি হয়। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন প্রতিদিন ১৮শ টন আবর্জনা পরিষ্কার করতে পারে। বাকি ৭শ টন আবর্জনা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খাল-নালায় পড়ছে। বর্তমানে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন, তাতে সেগুলোর সবটা শেষ হলেও জলাবদ্ধতার ৪০-৪৫ শতাংশ সমাধান করা যাবে মাত্র।’

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version