অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ-সম্পদের মালিক বনে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের অফিস সহায়ক ইয়াছিন মিয়া (৪৫) কে ৫ কোটি টাকা জরিমানা করেছে কুমিল্লার আদালত। পাশাপাশি একই মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে। দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিন মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার তাতুয়াকান্দি গ্রামের মোহন মিয়ার ছেলে।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ছিলেন। বুধবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় দুদকের কুমিল্লার উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে মঙ্গলবার (২৮ মে) কুমিল্লার স্পেশাল জজ (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) সামছুন্নাহার এ রায় দেন।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত স্বাক্ষর জাল করে নকল চালান ও তালিকা তৈরি করেন ইয়াছিন মিয়া। যা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেজিস্টেশন ফি, তল্লাশি ফি ও নকলের ফি বাবদ ৫ কোটি কোটি ৭৭ লাখ ২৫ হাজার ৫৩৯ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এ ঘটনা তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালের ১০ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদক কুমিল্লার সহকারী পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান। এর প্রেক্ষিতে বিচারক উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আসামি ইয়াছিনকে ৮ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন এবং আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আত্মসাৎ করা ৫ কোটি ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৭৭২ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। উপ-পরিচালক মো. ফজলুল হক জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত ইয়াছিনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আরেকটি মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে দুদক কুমিল্লার কার্যালয়ে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য