ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপের নির্বাচন শেষ হয়েছে বুধবার (২৯ মে)। এ নির্বাচনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সাদুল্লাপুর এই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ৯ জনসহ মোট ৪০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ না পাওয়ায় ওই দুই উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী, ১৪ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ মোট ২৭ প্রার্থী।
দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত প্রাথমিক বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের জন্য একজন প্রার্থীকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অনুকূলে এক লাখ টাকা, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের জন্য জমা দিতে হয় ৭৫ হাজার টাকা। নির্বাচনী এলাকার প্রদত্ত ভোটের ১৫ শতাংশ ভোট যদি কোনো প্রার্থী না পান, তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
বিধি মোতাবেক, সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন- চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সফিউল ইসলাম আলম (আনারস), গোলাম কবির মুকুল (টেলিফোন), আখতারুজ্জামান আকন্দ শাকিল (দোয়াত-কলম), সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহেদুজ্জামান সরকার বাদশা (মোটরসাইকেল), সাজ্জাদ হোসেন লিখন (ঘোড়া) ও এরশাদ আলী সূর্য (ব্যাটারি)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারাচ্ছেন- আহসানুল করিম চাঁদ (টিয়া পাখি), আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেল (গ্যাস সিলিন্ডার), মারুফ হোসেন প্রামাণিক বাদল (চশমা), জিএমএম এমিল সাদেকীন (উড়োজাহাজ), মাহালম মিঞা (টিউবওয়েল), আমিনুল ইসলাম সাজু (লাঙ্গল), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম মনোনীত আল শাহাদাৎ জামান জিকো (সিংহ), মহসিন আলী মন্ডল (পালকি), ছামিউল ইসলাম ভূইয়া (আইসক্রিম), শামীম সরদার (বৈদ্যুতিক বাল্প), ও সাদ্দাম তালুকদার (তালা)।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শ্রীমতি স্বপ্না রানী (ফুটবল) ও ফেরদৌসী বেগম (বৈদ্যুতিক পাখা) জামানত হারাচ্ছেন।
অন্যদিকে সাদুল্লাপুর উপজেলায় জামানত হারাচ্ছেন- চেয়ারম্যান পদে পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান (কাপ-পিরিচ), আজিজার রহমান (হেলিকপ্টার), নুর আজম মন্ডল (দোয়াত-কলম) ও সাহীন আলম (টেলিফোন)।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত হারাচ্ছেন- এনামুল হক মন্ডল (উড়োজাহাজ), মিজানুর রহমান (টিউবয়েল) ও শাহ আলম (মাইক) ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের আর্জেনা বেগম (হেলিকপ্টার)।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মশিউর রহমান বলেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থী মোট কাস্টিং ভোটের ১৫ শতাংশের নিচে কেউ ভোট পান তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
এ নির্বাচনে সাদুল্লাপুরে ৩৫ দশমিক ৯৬ ভাগ ও সুন্দরগঞ্জে ভোট পড়েছে ২৫ দশমিক ১১ ভাগ।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য