সাভারে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীর বিরুদ্ধে বাড়ি দখল ও হয়রানির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাবেক প্রবাসী স্বামী আমজাদ হোসেন। তার অভিযোগ, স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার পর তিনি তার নিজের বাড়িতে উঠতে পারছেন না।
রোববার (২ মে) বিকেলে সাভারের থানা রোডের একটি রেষ্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী আমজাদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী প্রবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি ২০১২ সালে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের খানপাড়া এলাকার সোহেল ওরফে টাই সোহেলের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর সাভারের ব্যাংক কলোনীর পৈত্রিক জমিতে তিনি একটি তিনতলা বাড়ি নির্মান করেন। পাশাপাশি স্টেশনারী ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে করোনার সময়ে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আমজাদ হোসেনকে জোরপূর্বক বিদেশে পাঠায় স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তিনি বিদেশে গেলে স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার টিকটকসহ পরকিয়ায় জড়িয়ে পরেন। দুই থেকে তিন বার তিনি পরকিয়া প্রেমিকের সাথে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান, ঘুরতে যান কক্সবাজার। স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাড়িতেই ৬ জন নারী নিয়ে শুরু করেন পতিতা ব্যবসা।
এসব কুকর্ম জানার পর স্ত্রী সুমাইয়াকে তালাক দেন আমজাদ হোসেন। বিচ্ছেদের ৫ মাস পরে আমজাদ দেশে ফিরলে তার বিরুদ্ধে করা হয় মিথ্যে মামলা। বর্তমানে সাবেক স্ত্রী ও তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বাড়ির তিন তলা দখল করে আছে এবং গোটা বাড়ি দখলের চেষ্টা করছে।
ভুক্তভোগীর ৮ বছরের ছেলে ওয়ালিদ বিন শায়ান বলে, আমার মা আমাকে খুব মারধর করে বাথরুমে আটকে রাখতো। বাসায় বিভিন্ন লোকজন নিয়ে সিগারেট আর কাপে পানি খেতো। আমার মা নিজেই ব্লেড দিয়ে হাত কেটে লবন লাগিয়েছে আমার সামনে। তিনি বিভিন্ন সময় লোকজন বাসায় আনতো।
প্রবাসী আমজাদ হোসেন বলেন, আমার সাবেক স্ত্রী আমাকে প্রতিনিয়ত হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। আমাকে নিজ বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। ফ্ল্যাট লিখে নেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। নিজেই নিজের হাত কেটে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমি প্রবাসে থাকাকালিন সময়ে সমস্ত টাকা সুমাইয়ার একাউন্টে পাঠিয়েছি। এছাড়া একটা ঋণ করে বিদেশে গিয়েছিলাম তার কিস্তি বাবদ প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়েছি। সব কিছু আত্মসাৎ করেছে। আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, বাড়ি দখল, আমার ৮ বছরের শিশু সন্তানকে মানসিক নির্যাতন করার বিচার চাই।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য