-->
শিরোনাম

বিধি বহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
বিধি বহির্ভূতভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগদানের প্রতিবাদে মানববন্ধন

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে তাদের মনোনীত ব্যক্তিকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগদানের উদ্যোগের প্রতিবাদে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

সোমবার সকাল ১১টায় ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউপির জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিদ্যালয় চত্বরে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচি পালনসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।

জয়নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. রায়হান আলী, সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মোছা. তাহেরা বেগম ও সহকারী শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মো. শাহানুর আলম বলেন, ম্যানেজিং কমিটিকে পাশ কাটিয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন মন্ডল ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায় যোগসাজস করে সরকারি বিধি বহির্ভূতভাবে পার্শ্ববর্তী বিরামপুরের মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মামুনুর রশিদকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের পাঁয়তারা করছেন। ১৮ মে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্তে প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সেই সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে এবং কমিটির কাউকে কোনো কিছু না জানিয়ে গোপনে মামুনুর রশিদকে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য সোমবার সকাল ১০টায় দিন ধার্য করেন প্রধান শিক্ষক ও কমিটির সভাপতি। এজন্য আবেদনকারিদের কাউকে মৌখিকভাবে আবার কাউকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।

বিষয়টি জানাজানি হলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মচারি-অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছেন। এরই অংশ হিসেবে বিক্ষোভসহ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। তবে বিক্ষোব ও মানববন্ধনের জন্য সকালে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থাগিত করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ আগামীকাল মঙ্গলবার শেষ হয়ে যাবে। এ কারণে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক তড়িঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুনীল চন্দ্র রায়কে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন মন্ডলের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নূর আলম ও জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ জাফর আরিফ চৌধুরী বলেন, মৌখিকভাবে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে বলা হলেও লিখিতভাবে কোনো কিছু বলা হয়নি। ফলে নিয়োগ হবে কি না তা তারা জানেন না।

 

ভোরের আকাশ/ সু

মন্তব্য

Beta version