হু হু করে বাড়ছে সুনামগঞ্জের সুরমাসহ সকল নদ-নদীর পানি। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে জেলার সুরমা, যাদুকাটা, চেলা, চলতি, খাসিয়ামারা, মৌলা, কালিউরি, ধূমখালিসহ সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। প্লাবিত হয়েছে জেলার নিম্নাঞ্চল। ইতোমধ্যে ছাতক, দোয়ারাবাজার ও তাহিরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৮ টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও ছাতক ও দোয়ারাবাজার এলাকায় সুরমার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় সুনামগঞ্জে ১৫৭ মিলিমিটার ও মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ৪৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
দোয়ারাবাজার উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে বিভিন গ্রাম। এছাড়াও জেলার দোয়ারাবাজার, তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুরসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৮টি গ্রাম ঢলের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, পুকুরের মাছসহ রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া আমনের বীজতলা, আউশ ও সবজি ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মামুন চৌধুরী বলেন, ‘খাসিয়ামারা নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে একের পর এক গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।’
সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘটায় মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হতে পারে। এজন্য সবাইকে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু
মন্তব্য