উজানে টানা ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে সিরাজগঞ্জে যমুনাসহ বিভিন্ন ছোট বড় নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত দুদিন ধরে আশঙ্কাজনক হারে পানি বাড়তে থাকায় নিম্নাঞ্চলে বন্যা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কায় জেলা সদর, কাজিপুর, বেলকুচি, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এ এলাকায় ছোট থেকে মাঝারি আকারের বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৭৭ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৭ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ১৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২ দশমিক ৯০ মিটার)। এর আগে বুধবার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৩ সেন্টিমিটার।
অন্য দিকে কাজিপুর উপজেলার মেঘাই ঘাট পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৪৫ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩৫ মিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার)। এর আগে বুধবার ৩৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানায়, জুন মাসের শুরুতে যমুনায় পানি বাড়া শুরু হয়। ৩ জুন থেকে অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়লেও এক সপ্তাহ পর কমতে থাকে। এরপর ১৮ জুন থেকে আবারও দ্রুত বাড়ছে যমুনার পানি।
এদিকে হু হু করে পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার অভ্যন্তরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। তলিয়ে যাচ্ছে চরাঞ্চলের ফসলী জমি। এতে বন্যা আতঙ্ক বিরাজ করছে চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, আরও চার পাঁচদিন যমুনায় পানি বাড়বে। এতে বিপৎসীমা অতিক্রম করে ছোট থেকে মাঝারি বন্যা হওয়াযার সম্ভাবনা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, যমুনায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বাঁধসহ ভাঙ্গন এলাকায় সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে। ভাঙ্গন রোধে জিও ব্যাগ সহ জনবল প্রস্তত রাখা হয়েছে। বন্যার আগাম সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে।
ভোরের আকাশ/মি
মন্তব্য